পণপ্রথা নিয়ে লেখা সেই বইয়ের পাতা। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
পাঠ্যবইয়ের পাতায় গোটা গোটা অক্ষরে লেখা ছিল, ‘কুরূপা মেয়ের বিয়ে দিতে কাজে লাগে পণ প্রথা’। বিষয়টি নজরে আসতেই শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল মহিলা কমিশন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বইটি বাজার থেকে তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল প্রকাশনা সংস্থা।
নার্সিং পড়ুয়াদের একটি পাঠ্যবইয়ের অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল ‘পণপ্রথার সুফল’। একের পর এক বেশ কয়েকটি কারণ-সহ তালিকা দিয়ে বলা হয়েছিল কেন পণপ্রথা উপযোগী। তার মধ্যে একটি কারণ এ-ও বলা হয়েছিল যে ‘মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তির অধিকার পেতে সাহায্য করে পণপ্রথা।’ পাঠ্যবইয়ের ওই পাতাটি প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে হইচই শুরু হয় নেটমাধ্যমে। মাঠে নামে জাতীয় মহিলা কমিশনও। কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বিষয়টি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে লিখিত ভাবে জানান। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। তার পরই বইটির প্রকাশনা সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, তারা বাজার থেকে বইটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যে বইটি নিয়ে বিতর্ক সেটি নার্সিং পড়ুয়াদের সমাজবিদ্যার পাঠ্য বই। ১২২ পাতার বইটি লিখেছেন এক মহিলা লেখক, টিকে ইন্দ্রাণী। বিতর্ক শুরু হওয়ার পর লেখিকা এবং প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিল ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল। পরে ওই প্রকাশনা সংস্থা জানায়, তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় সে দিকেও নজর রাখার ব্যবস্থা করেছে। অবশ্য এর আগে সংস্থাটি জানিয়েছিল, বইটি প্রকাশ হওয়ার আগে তার বিষয়বস্তু অনুমোদন করেছে খোদ নার্সিং কাউন্সিল।