দেশের অন্যতম কম্যান্ডো বাহিনী এনএসজি-র ওয়েবসাইটে হামলা চালাল হ্যাকাররা। ফলে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে চলতি বিতর্ক নয়া মাত্রা পেল।
আজ এনএসজি-র ওয়েবসাইট হ্যাক করে মূল পাতাটিতে পুলিশের হাতে সাধারণ মানুষের মার খাওয়ার একটি ছবি আপলোড করে হ্যাকাররা। ওই ছবি কাশ্মীরের বলেই দাবি তাদের। কাশ্মীরকে ‘মুক্ত’ করার ডাকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে অশালীন ভাষায় কিছু মন্তব্যও করা হয়। দেওয়া হয় পাকিস্তানপন্থী স্লোগানও। হ্যাকারদের দাবি, তাদের সংগঠনের নাম ‘অ্যালোন ইনজেক্টর’।
বিষয়টি জানার পরে ‘এনএসজি ডট গভ ডট ইন’ সাইটটি ব্লক করে দেন বিশেষজ্ঞরা। খবর দেওয়া হয় সরকারি ওয়েবসাইটের তদারকির দায়িত্বে থাকা ‘ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিকস সেন্টার’-কেও (এনআইসি)।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই হামলার পিছনে পাকিস্তানি হ্যাকাররা থাকার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। কারণ, পাকিস্তানপন্থী স্লোগানের পাশাপাশি হ্যাকাররা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কথাও বলেছে। তবে এ বার গোটা সাইটটির বিষয়বস্তু নষ্ট করেনি তারা। অন্য ওয়েবসাইটের সঙ্গে লিঙ্কের পাতাটি বদলানো হয়নি।
এনআইসি সূত্র জানাচ্ছে, চিন ও পাকিস্তানের হ্যাকাররা অনেক বারই ভারতের ওয়েবসাইটে হামলা চালিয়েছে। অনেক সরকারি সাইটেই যে বহুস্তরীয় নিরাপত্তা থাকার কথা তা নেই। ফলে তা সহজেই হ্যাক করা যায়। চিনা ও রুশ হ্যাকারদের কাজকর্ম নিয়ে এখন আমেরিকাও উদ্বিগ্ন। ফলে ভারতের সাইবার সুরক্ষা নিয়ে নতুন ভাবে ভাবার সময় এসেছে। সম্প্রতি রাহুল গাঁধী, বিজয় মাল্য ও কংগ্রেসের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছিল ‘লেজিয়ন’ নামে এক হ্যাকার গোষ্ঠী।
ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে এখনও প্রচার চালাচ্ছে মোদী সরকার। এক বিরোধী নেতার মন্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল, ডিজিটাল বলে চিৎকার করছেন। এ দিকে কম্যান্ডো বাহিনীরই এই দশা। তা হলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী হতে পারে আপনারাই ভেবে নিন।’’