ফুলের তোড়া নয়, স্বাগত জানান বই দিয়ে। এক সপ্তাহ আগে এই ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু যা বলেছিলেন, বাস্তবে তার ফল খুব একটা দেখা যায়নি। অগত্যা রেডিওতে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আজ এ নিয়ে যুক্তি সাজাতে হল প্রধানমন্ত্রীকে।
গত সপ্তাহে কেরলে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানান, ফুলের তোড়ার বদলে স্বাগত জানানোর উপকরণ হোক বই। ইংরাজিতে বলেছিলেন, ‘বোকের বদলে বুক’। কিন্তু তার পরে প্রধানমন্ত্রী যোগ দিবসে লখনউ গিয়েছেন। সেখানে ফুলের তোড়াতেই স্বাগত জানানো হয়েছে তাঁকে। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছেন রামনাথ কোবিন্দকে, তিনিও ফুলের তোড়াই তুলে দিয়েছেন মোদীর হাতে। আর তা দেখে বিরোধীরা কটাক্ষ করেছেন, ‘‘আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও। কোথায় গেল প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান? এটিও কি একটি ফাঁপা প্রচার হয়ে থেকে গেল?’’ সেই বিরোধিতা পৌঁছেছে প্রধানমন্ত্রীর কানেও। তার পরেই আজ রেডিওতে ওই প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। ‘মন কি বাত’-এ তিনি বলেন, ‘‘স্বভাব তো রাতারাতি বদলায় না। কেউ যদি ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন, তাঁকে তো বারণ করতে পারি না। সমালোচনা হবে। কিন্তু ওই আহ্বানও জানিয়ে যেতে হবে। ধীরে ধীরে স্বভাব বদল হবে।’’ মোদী বলেন, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে তিনি বই দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন। কেরলের অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা যখন বললেন তাঁরা ফুলের বদলে বই দেন, তখন ফের পুরনো কথা মনে পড়ে যায় তাঁর।
এই প্রসঙ্গে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের গল্পও শোনান মোদী। বলেন, গত বছর যখন লন্ডনে গিয়েছিলেন, তখন এলিজাবেথ তাঁকে একটি রুমাল দেখান। তাঁর বিয়ের সময় মহাত্মা গাঁধী সেটি পাঠিয়েছিলেন। রুমালটি এখনও যত্ন করে রেখেছেন এলিজাবেথ। মোদীর কথায়, এ ধরনের উপহার ইতিহাসে জায়গা করে নেয়। তাই ফুলের বদলে যদি বই দেওয়া হয়, তা হলে সেটি ঘরের অংশ হয়ে যায়। আবার বই পড়ার স্বভাবও বাড়ে। খাদির রুমাল উপহার দেওয়ার কথাও বলেন মোদী। বলেন, এতে খাদির প্রসার হয়। গরিবদের উপকারও হয়।