Cold Wave

রাজস্থানের বহু জায়গায় শূন্যে নামল তাপমাত্রা, মাউন্ট আবুতে হিমাঙ্কের ৬ ডিগ্রি নীচে, দিল্লিতে ২ ডিগ্রি

শৈত্যপ্রবাহ চলছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবেও। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। সঙ্গে থাকবে ঘন কুয়াশার দাপটও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ ১৩:০২
Share:

ঠান্ডার কামড় থেকে বাঁচাতে আগুন পোহানো চলছে। ছবি: পিটিআই।

ভয়ানক ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। কোথাও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে পৌঁছেছে, কোথাও আবার হিমাঙ্কের কাছাকাছি। হাড় জমিয়ে দেওয়া ঠান্ডায় যখন লড়াই চালাচ্ছে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলি, তার সঙ্গে ঘন কুয়াশার দাপট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। ট্রেন, বাস, বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি, অন্য দিকে, রাজস্থানের বহু জায়গায় শূন্যে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। মাউন্ট আবুতে তো তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের ৬ ডিগ্রি নীচে।

Advertisement

মৌসম ভবন জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বজায় থাকবে। দিল্লিতে গত কয়েক দিন ধরেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। শুক্রবার তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য হেরফের হয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে।

শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ পালমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের থেকে ২ ডিগ্রি কম। অন্য দিকে সফদরজং-এর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রিতে নেমেছে। দিল্লি রিজ এবং লোধি রোডে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ১.৫ এবং ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement

শৈত্যপ্রবাহের কামড় তো আছেই, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে ঘন কুয়াশাও। এর কারণে কোথাও দৃশ্যমানতা এতটাই নেমে গিয়েছে যে, যান চলাচল ভীষণ ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে।

পালমে শনিবার দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের নীচে। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছিল ২৫ মিটার। ফলে বিমান চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। ৩৪টি অভ্যন্তরীণ (ডোমেস্টিক) উড়ান দেরিতে ছেড়েছে। আবার ১২টি বিমান দেরিতে নেমেছে বিমানবন্দরে। কুয়াশার কারণে উত্তর রেলের ৩২টি ট্রেন দেরিতে চলছে।

হাড়কাঁপানো ঠান্ডা আর কুয়াশা তো আছেই, তার সঙ্গে দিল্লির বাতাসের গুণমানও ভয়ানক অবস্থায় পৌঁছেছে। বাতাসের গুণমান ঠিক করার জন্য এবং দূষণ কমাতে দু’দিন আগেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। কিন্তু বাতাসে যে ভাবে দূষিত কণার পরিমাণ বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা।

শুধু দিল্লি নয়, শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং পঞ্জাবেও। আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই রাজ্যগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। রাজস্থানের বিকানেরের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। চুরুতে ১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। মধ্যপ্রদেশের নওগাং এবং ছতরপুর জেলায় শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য দিকে, জম্মু-কাশ্মীরেও তাপমাত্রা হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে। শুক্রবার শ্রীনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ২ ডিগ্রি নীচে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement