বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে বিতস্তা নদী। ছবি: টুইটার।
বৃষ্টিতে নাজেহাল গোটা হিমাচল প্রদেশে। কোথাও ভাসল জাতীয় সড়ক। কোথাও নামল ধস। কোথাও নদীর জলে ভেসে গেল গাড়ি। কোথাও আবার নদীতে তলিয়ে গেল দোকান, এটিএম। চম্বা, কাংড়া, কুলু, মান্ডি, উনা, হামিরপুর এবং বিলাসপুরে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
অন্য দিকে, শিমলা, সিরমুর এবং সোলানে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে লাহুল এবং স্পিতিতে। একইসঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হড়পা বান এবং ধসের সতর্কবার্তাও দিয়েছে মৌসম ভবন। রাজ্য আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গত দু’দিনে ২০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি জেলাগুলিতে ১০ জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের জেরে ৯০টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে শুধু শিমলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি রাস্তা। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে ভয়ানক আকার ধারণ করেছে বিতস্তা নদী। কোথাও কোথাও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে এই নদী। বিতস্তার জলের তোড়ে কুলুতে চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়কের একাংশ ভেসে গিয়েছে। ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মান্ডি এবং কুলুর মাঝে আটকে পড়েছে বহু গাড়ি।
অন্য দিকে, কুলু এবং উনায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গাড়ি। মানালিতে বিতস্তার জলের তোড়ে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান, একটি এটিএমও।