নয়ডার যমজ অট্টালিকা। ফাইল চিত্র।
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। বহু বিতর্কিত নয়ডার যমজ অট্টালিকা মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয়েছে কুতুব মিনারের থেকেও উঁচু এই যমজ অট্টালিকাকে ধুলিসাৎ করতে।
২৮ অগস্ট এই যমজ অট্টালিকা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই ওই সময় যাতে যমজ অট্টালিকার এক নটিক্যাল মাইলের (১.৮ কিলোমিটার) মধ্যে কোনও বিমান যাতাযাত না করে সে বিষয়ে একটি অ্যাডভাইজরি জারি করেছে নয়ডা প্রশাসন।
বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, যমজ অট্টালিকা ভাঙার ফলে আকাশে ধুলোর আস্তরণ তৈরি হতে পারে। ফলে দৃশ্যমানতারও সমস্যা হতে পারে। সেই আশঙ্কা করেই আগেভাগে যমজ অট্টালিকার দু’কিলোমিটারের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার জন্য বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
শুধু তাই নয়, ২৬ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত যমজ অট্টালিকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ড্রোন ওড়ানোতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, যমজ অট্টালিকা ভাঙার পর এক ঘণ্টার জন্য যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখা হবে। তিনি আরও জানান, যদি ধুলোর আস্তরণ অনেক ক্ষণ থাকে, তা হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী এক্সপ্রেসওয়ে বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হবে।
আধ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে মেট্রোও। দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স এবং আপৎকালীন পরিষেবা যমজ অট্টালিকার পিছনের একটি পার্কে মোতায়েন করা হয়েছে। দু’কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। শুধুমাত্র আপৎকালীন পরিষেবা চালু থাকবে। নিরাপত্তার জন্য ৪০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্থানীয় তিনটি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রয়োজনে গ্রিন করিডর বানানো হতে পারে বলে নয়ডা প্রশাসন সূত্রে খবর।
সবচেয়ে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যমজ অট্টালিকার কাছাকাছি বিল্ডিংগুলির বাসিন্দাদের রবিবার সকালের মধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।