গুয়াহাটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দুই দিন ব্যাপী শুনানি শিবিরের শেষে বিভিন্ন মানবাধিকার ভঙ্গের ঘটনায় মোট ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
অসমের ২৩টি ঘটনা ছাড়াও মণিপুরের ১৩টি, নাগাল্যান্ডের তিনটি, অরুণাচলের একটি ঘটনা মিলিয়ে ৪০টি ঘটনার শুনানি হয় এখানে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, আফস্পা প্রত্যাহার বা সংশোধন করার বিষয়টি সরকারের হাতে। কিন্তু ওই আইন কার্যকর থাকলেও ভুয়ো সংঘর্ষ বা পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হলে মানবাধিকার কমিশন নিজের তরফেই মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে।” যেমনটি ঘটেছে নাগাল্যান্ডের মন জেলায় গণহত্যার ঘটনায়। বিচারপতি মিশ্র অবশ্য মনে করিয়ে দেন, আফস্পাকে এক কথায় সব মানবাধিকার ভঙ্গের জন্য দায়ী করা চলে না। উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যে আফস্পা জারি থাকলেও মানবাধিকার ভঙ্গের ঘটনাগুলিকে সাধারণীকরণ করা চলে না।
অসমে মে মাস থেকে একের পর এক এনকাউন্টার, পুলিশের হেফাজতে গুলিতে মৃত্যু বা জখম হওয়ার ঘটনা ঘটছে। মারা গিয়েছে ৩২ জন। জখমের সংখ্যা ৫৫।