মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
বিতর্কের মুখে পদত্যাগ করার জল্পনা উড়িয়ে দিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। অবশ্য একই সঙ্গে জানালেন, তাঁর দলের(বিজেপি) শীর্ষ নেতৃত্ব চাইলে তিনি পদ ছাড়তে প্রস্তুত। ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বীরেন বলেন, “পদত্যাগের প্রশ্নই নেই। তবে হ্যাঁ, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি চান, আর মণিপুরের মানুষের ইচ্ছা যদি তেমনই হয়ে থাকে, তবে আমি পদ ছেড়ে দিতে রাজি।
নিজের আশু কর্তব্যের কথা জানাতে গিয়ে বীরেন বলেন, “আমার এখন একমাত্র লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা।” কেউ তাঁকে এখনও পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বলেননি বলেও দাবি করেন তিনি। যদিও বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, হিংসাদীর্ণ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ বীরেনের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না করে বিজেপি ডাবল ই়ঞ্জিন সরকার (কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একই দলের সরকার)-এর ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই বীরেনকে পদত্যাগ করতে দিচ্ছে না বলে দাবি বিরোধী দলগুলির। এর আগে অবশ্য এক বার পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন বীরেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠমহলের তরফে জানানো হয়, সমর্থকদের চাপে পড়েই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্যে এই কারণের কথা জানান। তাঁর পদত্যাগপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। সম্প্রতি মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে তেতে রয়েছে জাতীয় রাজনীতি। ৭৮ দিন চুপ থাকার পর মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’’ তবে তাতে ক্ষোভের প্রশমন যে ঘটেনি, তা বিরোধীদের বিক্ষোভেই স্পষ্ট। মণিপুরের ঘটনায় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব বিরোধীরা। এই নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই অচল সংসদের বাদল অধিবেশন।