তিনটি কৃষি আইন নিয়ে তাদের আপত্তির কথা যেন কৃষক সংগঠনগুলি মন খুলে বলতে পারে, তার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির অভিযোগ, কমিটির সদস্যেরা সকলেই ‘কৃষি আইন-পন্থী’। আজ তার জবাবে কমিটির অন্যতম সদস্য অনিল ঘনওয়াত জানিয়ে দিলেন, কৃষি আইন নিয়ে তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত ‘কোনও বড় বিষয় নয়’। এ বিষয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডেরও একই মত। আজ একটি মামলায় তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণ, তাঁরা (কমিটির সদস্যেরা) কমিটিতে মনোনীত হওয়ার আগে কৃষি আইন নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। তা কমিটির সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে না।
কমিটির তিন সদস্য অনিল ঘনওয়াত, অশোক গুলাটি এবং প্রমোদকুমার জোশী আজ বৈঠকে বসেন। কমিটি কী ভাবে কাজ করবে তার প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয়। পরে অনিল জানান, ২১ জানুয়ারি তাঁরা কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। কৃষক সংগঠনগুলি আগেই জানায়, ‘কৃষি আইন-পন্থী’দের নিয়ে গঠিত কমিটির সামনে তারা যাবে না। এ প্রসঙ্গে আজ অনিল বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের কাছে আমরা যে রিপোর্ট জমা দেব, তাতে আমাদের ব্যক্তিগত মতামতের প্রভাব পড়বে না। আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলির কাছে আবেদন, আমাদের কাছে আসুন। আমরা কোনও দলের নই।’’ আর এক সদস্য প্রমোদকুমারের কথায়, ‘‘আমরা নিরপেক্ষ।’’
কৃষি আইন নিয়ে আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। আগামিকালই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক বসার কথা কেন্দ্রের। আগামী ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর মিছিল নিয়ে আজ দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। দিল্লির আউটার রিং রোডে মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের তরফে জানানো হয়, সেখানে প্রচুর যান চলাচল করে, ফলে অসুবিধা হতে পারে। ফের বৈঠকে বসবে দুই পক্ষ।