সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।
এনআরসিতে নাম রয়েছে স্বামী, বাবা, ঠাকুরদা, মা, বোন ও ভাইয়ের। কিন্তু অসমের বঙাইগাঁওয়ের মামেলা খাতুনের নাম বাদ পড়ে এনআরসি থেকে। কারণ ২০১২ সালে তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক নাগরিকের নোটিস এসেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। ফরেনার্স ট্রাইবুনাল, হাইকোর্ট হয়ে মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত শুধু নিজের বিতাড়নই ঠেকালেন না মামেলা, সেই সঙ্গে একই ধরনের মামলাগুলিকে একত্রে নিয়ে আরও বহু আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, এনআরসিতে নাম না থাকা বা বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে দিলেও আপাতত দেশ থেকে তাড়ানো যাবে না কাউকে। তিন সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র ও অসম সরকারের মতামত চেয়ে পাঠিয়েছে বিচারপতি হিমা কোহলি ও ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ।
মামেলার তরফে মামলা লড়া আইনজীবী পীযূষকান্তি রায় জানান, মামেলার পরিবারে সকলে ভারতীয়। অথচ পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকার পরেও তাঁকে ২০১৭ সালে ১৯৭১ সালে ভারতে ঢোকা বিদেশি বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দিলেও পরে আবেদন খারিজ করে জামিন বাতিল করে।
মামলার রায় ঘোষণা হয় ২৩ সেপ্টেম্বর। তার পরেই একই ভাবে পরিবারের বিচ্ছিন্ন সদস্য হিসেবে বিদেশির তকমা পাওয়া বা এনআরসি-ছুট হওয়া একাধিক ব্যক্তির আবেদন জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে আরও প্রায় দুই ডজন আবেদনকারীর আবেদন সোমবার শোনে সুপ্রিম কোর্টের ওই বেঞ্চ। সকলের ক্ষেত্রেই পরিবারের বাকি সদস্যদের ভারতীয় হওয়ায় সমস্যা না থাকলেও কোনও এক জনের ক্ষেত্রে বিদেশি হওয়ার রায় দান করেছে ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। তাই একই ধরনের সব ক’টি মামলার ক্ষেত্রেই একই অবস্থান নেওয়া হয়েছে ও প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং অসম সরকারের মতামত চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই ধরনের মামলায় কারও বিরুদ্ধেই আপাতত দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না।