(বাঁ দিকে) মুকেশ অম্বানী। সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)। ছবি: রয়টার্স এবং পিটিআই।
শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্তের বিয়ের অনুষ্ঠানে শুক্রবার দেখা যাবে না গান্ধী পরিবারের কোনও প্রতিনিধিকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা অনন্ত ও রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে হাজির থাকলেও, সনিয়া গান্ধী, তাঁর পুত্র রাহুল এবং কন্যা প্রিয়ঙ্কা মুম্বইয়ের অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে কংগ্রেসের সূত্রের খবর।
ওই সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার কংগ্রেস সংসদীয় বোর্ডের চেয়ারপার্সন সনিয়া নবদম্পতিকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাবেন। রিলায়্যান্স গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ অম্বানী স্বয়ং গত ৪ জুলাই দিল্লিতে সনিয়ার ১০ জনপথের বাসভবনে গিয়ে গান্ধী পরিবারকে নিমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবারের ‘সম্ভাব্য অনুপস্থিতি’ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, মুকেশ-পুত্রের বিয়েতে গান্ধী পরিবার, বিশেষত রাহুলের অনুপস্থিতি প্রত্যাশিতই ছিল। কারণ, গত কয়েক বছর ধরে রাহুল ধারাবাহিক ভাবে ‘মোদীর ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে মুকেশকে একই বন্ধনীতে ফেলে নিশানা করেছেন। এমনকি, বিরোধী দলনেতা হিসাবে লোকসভায় প্রথম বক্তৃতাতেও অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনে স্থানীয় মানুষকে বাদ দিয়ে আদানি-অম্বানীদের ‘সাদর আমন্ত্রণ’ জানানো হয়েছিল বলে মোদী তথা শাসক শিবিরকে খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি।
বিজেপি তথা এনডিএ তো বটেই, বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন দলের নেতাদেরও এই বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে, মুকেশ-পুত্রের বিয়ের পরের দিন, শনিবার মহারাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রাহুলের। কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি সোলাপুরের পান্ঢারপুরে বিঠ্ঠল দেবের মন্দিরের তীর্থযাত্রায় অংশ নেবেন। প্রতি বছর এখানে লক্ষ লক্ষ তীর্থযাত্রী পায়ে হেঁটে আষাঢ়ী একাদশীতে পুজো দিতে যান। এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শরদ পওয়ারের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাড়ী জোটের নেতারা লোকসভার অধিবেশনের সময় রাহুলের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ওই তীর্থযাত্রায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দু’দিনের মহারাষ্ট্র সফরে গিয়ে রাহুল এক বার অম্বানীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।