লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন ভারতীয় সেনা। —ফাইল চিত্র
মে মাসের গোড়া থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লাগাতার আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। তবে গত ছ’মাসে চিন সীমান্ত দিয়ে কোনও অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তবে জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাক জঙ্গিরা, জানিয়েছে মন্ত্রক। ছ’মাসে ভারত-পাক সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে ৪৭ বার।
চিন ও পাক সীমান্ত দিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই— এই ছ’মাসে কতগুলি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে, রাজ্যসভায় তা জানতে চান বিজেপি সাংসদ অনিল আগরওয়াল। লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য দেন। চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশ শূন্য হলেও পাকিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টায় যে বিরাম নেই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য থেকেই তা স্পষ্ট। পাক-সীমান্ত দিয়ে কোন মাসে ক’টি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে, তার বিস্তারিত খতিয়ানে নিত্যানন্দ জানিয়েছেন, মূলত বরফ গললে গরমের সময়েই অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলে। মার্চে ৪টি, এপ্রিলে ২৪টি, মে-তে ১১টি এবং জুলাইয়ে ১১টি এই রকম ঘটনা ঘটেছে। জুন মাসে অনুপ্রবেশের কোনও নজির নেই।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মঙ্গলবার সংসদে জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার অনেকগুলি পোস্টে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের পাশাপাশি অনেক বার আগ্রাসন ও ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে চিনা বাহিনী।
আরও পড়ুন: মস্কো বৈঠকের আগে ১০০-২০০ রাউন্ড গুলি চলেছিল প্যাংগংয়ে, সামনে এল আরও বড় ঘটনা
আরও পড়ুন: মুকুল রায়ের প্রতি তৃণমূলের মনোভাব ‘নরম’, জল্পনা বিজেপিতে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যাখ্যা, অনুপ্রবেশ আর আগ্রাসন বা ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা এক নয়। ‘অনুপ্রবেশ’-এর ধারণা জঙ্গিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। সেই হিসেবেই ভারত-চিন সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখতে সরকার একাধিক পদক্ষেপ করেছে। সীমান্তে একাধিক স্তরে সেনা মোতায়েন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো ও সেই সব তথ্য আদানপ্রদান, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মতো বিষয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।