ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছিলেন, অসমকে ইনার লাইন পারমিটের আওতায় আনা সম্ভব নয়। আজ রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, অসমে পারমিট চালু হলে পর্যটন, বিনিয়োগ, ব্যবসা সব বন্ধ হয়ে যাবে। বেকারি আরও বাড়বে।
অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা অসমিয়াদের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক রক্ষাকবচ নির্ধারণের জন্য ‘অসমিয়া’র সংজ্ঞা নির্ধারণের ভার কেন্দ্র উচ্চপর্যায়ের কমিটিকে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কমিটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে। সে প্রসঙ্গে সরকার জানায়, অসম চুক্তিতে কোথাও ভূমিপুত্র বা ‘খিলঞ্জিয়া’ শব্দের উল্লেখ নেই। আছে ‘অসমিয়া’ শব্দটি। অসম চুক্তি পরবর্তী পর্যায়ে বিদেশি চিহ্নিতকরণ ও বহিষ্কার নিয়ে অগপ বিধায়ক রমেন্দ্রনারায়ণ কলিতার প্রশ্নের জবাবে সরকার জানিয়েছে, ১৯৮৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ‘বিদেশি’-বিরোধী মামলার সংখ্যা ৪,৩২,৯৪৪টি। ঘোষিত বিদেশির সংখ্যা ১,২৬,৯৯৮। মোট বহিষ্কৃত বিদেশির সংখ্যা ২৯,৮৯০ জন। বর্তমানে রাজ্যে সন্দেহজনক ভোটারের সংখ্যা ১,১৩,৭৩৮ জন। এনআরসি প্রসঙ্গে সরকার জানায়, বর্তমানে এনআরসিতে নাম বাদ পড়া ১৯ লক্ষাধিক মানুষের ‘স্পিকিং অর্ডার’ স্ক্যান করার কাজ চলছে। কাজ শেষে কেন নাম বাদ পড়ল তা জানিয়ে ‘রিজেকশন স্লিপ’ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ফরেনার্স ট্রাইবুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে।