সংস্কৃতি মন্ত্রীর দাবি, প্রতি বছর গরবার সময় ৪ লক্ষেরও বেশি হিন্দু মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। ফাইল ছবি।
নবরাত্রিতে গরবা নাচতে হলে দেখাতেই হবে পরিচয়পত্র। নিদান দিলেন মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রী ঊষা ঠাকুর। মন্ত্রীর দাবি, যে হারে ‘লভ জিহাদ’ বাড়ছে, তা থেকে হিন্দু মহিলাদের বাঁচাতে এ ছাড়া উপায় নেই। মন্ত্রীর এমন ফরমান বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে উস্কে দিয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
ঊষা বলেন, ‘‘সবাই জানেন, গরবা মণ্ডপগুলো লভ জিহাদের বড় বড় কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। তাই আমরা চাই, কেউ যাতে নিজের পরিচয় লুকিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে না পারে। এটাকে পরামর্শ ভেবেও নিতে পারেন, আসলে এটা সতর্কবার্তা।’’
উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা ‘লভ জিহাদ’ শব্দবন্ধটি আকছার ব্যবহার করে থাকেন। এর মাধ্যমে তাঁরা দাবি করেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের ছেলেরা হিন্দু মহিলাদের ফুসলিয়ে বিয়ে করার মাধ্যমে তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু ভোট একত্রিত করার কৌশল প্রয়োগ করে ভোটে বাজিমাত করে বিজেপি। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, কোনও মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিচয়পত্র দেখালে কি তিনি গরবা প্যান্ডালে প্রবেশাধিকার পাবেন?
তবে এটা অবশ্য প্রথম নয়। ঊষার এমন বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের উদাহরণ আগেও মিলেছে। ২০১৪-য় বিজেপি বিধায়ক ঊষা বিতর্কে জড়়িয়েছিলেন, গরবা প্যান্ডেলে মুসলিম সম্প্রদায়কে ঢুকতে না দেওয়ার দাবি তুলে। নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের গরবা উদ্যোক্তাদের তিনি চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছিলেন, গরবা প্যান্ডালে যেন মুসলিমদের ঢুকতে না দেওয়া হয়। এহ বাহ্য, মুসলিম সম্প্রদায়ের কোনও পুরুষ যাতে হিন্দু মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে না পারেন, তা নিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছিলেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীর আরও দাবি, প্রতি বছর গরবার সময় ৪ লক্ষেরও বেশি হিন্দু মহিলার ধর্ম পরিবর্তন করা হয়। যদিও এ ব্যাপারে কোনও সরকারি হিসাব মেলেনি। তাই মন্ত্রী কোথা থেকে এই সংখ্যা পেলেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।