ছবি: সংগৃহীত।
সংসদের অধিবেশন চললেও ইডি-র সমন বা গ্রেফতারি থেকে কোনও ছাড় নেই সাংসদদের। আজ উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু সংসদে এ কথা বলে জানান, এ নিয়ে সাংসদদের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের মামলায় সাধারণ নাগরিকদের থেকে সাংসদেরা আলাদা কোনও সুবিধা পান না।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ইডি ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠিয়েছিল। খড়্গে রাজ্যসভাতেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, অধিবেশনের মধ্যে এই সমন সঠিক কি না! তার আগে শিবসেনার রাজ্যসভার দলনেতা সঞ্জয় রাউতকে চলতি অধিবেশনের মধ্যেই ইডি গ্রেফতার করেছে। তা নিয়েও শিবসেনার সাংসদেরা রাজ্যসভায় আপত্তি তুলেছিলেন। ইডি রাউতকে গ্রেফতার করার আগে বা পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে জানায়নি কেন, তা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন।
আজ নায়ডু রাজ্যসভায় বলেন, ‘‘সংবিধানের ১০৫-তম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সাংসদদের কিছু বিশেষ অধিকার রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল, সংসদের অধিবেশন বা সংসদীয় কমিটির আগে বা পরের ৪০ দিন কোনও দেওয়ানি মামলায় সাংসদদের গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু ফৌজদারি অপরাধের মামলায় সাধারণ নাগরিকদের থেকে সাংসদরা আলাদা নন। যার অর্থ হল, সংসদের অধিবেশন বা অন্য সময় তাঁদের পুলিশি পদক্ষেপ বা গ্রেফতারি থেকে কোনও ছাড় নেই। অতীতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানেরা এ বিষয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।’’ উদাহরণ হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১৯৬৬ সালে জাকির হুসেনের দেওয়া নির্দেশও তুলে ধরেন নায়ডু।
ইডি-র মুখোমুখি হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় খড়্গে বলেছিলেন, তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও সমন এড়াচ্ছেন না। আজ নায়ডু জানান, তদন্তকারী সংস্থা কোনও সাংসদকে ডেকে পাঠালে সংসদে কাজের অজুহাত দিয়ে সমন এড়ানো উচিত নয়। আইন প্রণেতা হিসেবে সাংসদদের দায়িত্ব আইন ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলা। কেউ অধিবেশন চলছে বলে অন্য সময় চাইতে পারেন। কিন্তু সময় এড়ানো যায় না। সুপ্রিম কোর্ট অতীতে কে আনন্দন নাম্বিয়ার মামলায় বা সম্প্রতি কেরল সরকার বনাম কে অজিত মামলায় একই রায় দিয়েছে।