মথুরায় সিবিআই নয়, তদন্তে রাজ্য সরকারই

দু’দিন আগে উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, মথুরা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে রাজি কেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ সরকার চাইলেই ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৬ ০৩:৩০
Share:

দু’দিন আগে উত্তরপ্রদেশের আমরোহাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছিলেন, মথুরা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে রাজি কেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ সরকার চাইলেই ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে। আইনজীবী তথা দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র অশ্বিনী উপাধ্যায় মথুরা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানান সুপ্রিম কোর্টে। সেই আর্জি আজ খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এ দিনই অবশ্য অখিলেশ সরকার মথুরা কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল। সেই তদন্তের নেতৃত্বে থাকবেন ইলাহাবাদ হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইমতিয়াজ মুরতাজা। দু’মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে এ দিন বিচারপতি পি সি ঘোষ ও অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ জানায়, ‘‘রাজ্য প্রশাসনের তদন্তে কোনও ফাঁক আছে বা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ঠিকমতো পদক্ষেপ করা হয়নি —এমন কোনও প্রমাণ ওই আর্জিতে নেই। তেমন প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয় আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’’ আদালত আরও বলে, যে বিষয় নিয়ে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি
জনস্বার্থ মামলা চলছে, সেই একই বিষয় সুপ্রিম কোর্টে বিবেচিত হতে পারে না। একমাত্র উত্তরপ্রদেশ সরকার চাইলে তবেই এই মামলায় সিবিআই তদন্ত করা যাবে বলে জানায় আদালত। আদালতের
তরফে জানানো হয়, আর্জিতে জমি জবরদখলের কথা থাকলেও, হিংসার কোনও উল্লেখ ছিল না। তাই ওই আর্জি ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে আজই স্বরাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উত্তরপ্রদেশ সরকার যথেষ্ট কঠোর নয়।’’

মথুরায় হিংসার ঘটনাকে সামনে রেখে সমাজবাদী পার্টিকে ক্রমাগত কোণঠাসা করতে চাইছে বিজেপি। জমি জবরদখল রুখতে আজ একটি অভিযান শুরুর কথা জানান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বলেন, ‘‘আগামিকাল একটি ই-মেল আইডি চালু করা হবে। যেখানে জমি জবরদখল নিয়ে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। তা দ্রুত খতিয়ে দেখবে বিজেপি।’’ পরের বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অমিত শাহের এই ঘোষণা দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের রাজনীতিকে আরও উস্কে দেবে বলেই মনে
করা হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement