(বাঁ দিকে) অজিত পওয়ার এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
তৃতীয় এনডিএ মন্ত্রিসভায় থাকলেন না জোটশরিক এনসিপি (অজিত পওয়ার)-র কেউ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, অজিত পওয়ারের দলকে একটি প্রতিমন্ত্রীর পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু অজিত শিবির জানায়, তাদের এক জনকে পূর্ণমন্ত্রী করতে হবে। যদিও তাদের এই আর্জি মানা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীস বলেন, “এনসিপির এক জনকে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাদের তরফে প্রফুল পটেল মন্ত্রী হবেন বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হতে রাজি হননি।” তার পরই এনডিএ-র শরিক দল এনসিপিকে খানিক কটাক্ষ করেই ফড়নবীস বলেন, “যখন একটা জোট সরকার গঠিত হয়, তখন কিছু নিয়ম মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু একটা দলের জন্য সেই নিয়ম বদলাতে পারে না।” তবে একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে এনসিপির কথা মাথায় রাখা হবে।
‘ধৈর্য’ ধরার কথা বলছেন মহারাষ্ট্রের আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতও। তিনি বলেন, “প্রফুল পটেল আগে পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। আমাদের মনে হয়েছে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করা ঠিক হবে না। তাই আমরা তাদের (বিজেপি) বললাম, কিছু দিনের জন্য অপেক্ষা করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমরা পূর্ণমন্ত্রিত্ব চাই।” প্রফুল নিজে এই প্রসঙ্গে জানান, আগে তিনি পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। এখন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবে রাজি হলে তাঁর ‘পদাবনতি’ হবে।
লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে অজিতের দল। পরিস্থিতি এমনই যে, দলের অনেকেই আবার এনসিপি (শরদ পওয়ার)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে খবর। বর্তমানে এনসিপি (অজিত)-এর লোকসভা এবং রাজ্যসভায় এক জন করে সাংসদ আছেন। নিজের এবং দলের গ্রহণযোগ্যতা বোঝাতে রবিবার অজিত দাবি করেন, আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে তাঁদের তিন জন রাজ্যসভার সাংসদ এবং চার জন লোকসভার সাংসদ থাকবেন! রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয় এনডিএ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত। তবে দলের কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করতে না পারলে কত দিন তিনি ‘ধৈর্য’ ধরেন, আপাতত সে দিকেই নজর সকলের।