Central Government

নতুন ঘোষণা নয়, বাজেটে চালু প্রকল্পেই নজর

অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, চিন্তা একটাই। তা হলে ঘাটতি মেটাতে ঋণে সুদের হার। গত বাজেটের ঘোষণার দিনই সরকারি ঋণপত্রে সুদের হার বেড়ে গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:৫১
Share:

নির্মলা সীতারামন ছবি: সংগৃহীত।

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সাধারণত ভোটের আগের বছরের বাজেটে নানা রকম জনমোহিনী ঘোষণা থাকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্র বলছে, নতুন কোনও জনমোহিনী ঘোষণার বদলে এ বারের বাজেটেও পরিকাঠামোয় বেশি খরচের দিকে নজর থাকবে। যাতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে নতুন করে সঙ্কটের মেঘাচ্ছন্ন অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায়।

Advertisement

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘মোদী সরকার এমনিতেই জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ খরচ করছে। সেই প্রকল্পগুলিতেই প্রয়োজন মাফিক অর্থ বরাদ্দ হবে। বাড়তি কোনও খয়রাতির সম্ভাবনা নেই।’’ উল্টো দিকে বিজেপি সূত্রের খবর, নতুন কোনও খয়রাতি বা জনমোহিনী প্রকল্প চালুর বদলে যে সব কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প চলছে, তার প্রচারেই বেশি নজর দেওয়া হবে। কী ভাবে এই প্রকল্পগুলি থেকে মানুষ উপকৃত হয়েছেন, তা তুলে ধরা হবে। কোনও রাজ্যে প্রকল্পের কাজে খামতি থাকলে, তা নিয়েও সরব হবে দল। গত সপ্তাহে বিজেপির পদাধিকারীদের বৈঠকেও এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য ও সারের দাম বৃদ্ধির ফলে মোদী সরকারকে সার ও খাদ্য ভর্তুকিতে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করতে হয়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনেই বাজেটের বাইরে আরও ৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচের প্রস্তাব পেশ করেছেন সীতারামন। ফলে রাজকোষ ঘাটতি কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, সংখ্যার হিসেবে রাজকোষ ঘাটতি বাড়তে পারে। বাজেটে ১৬.৬ লক্ষ কোটি টাকার রাজকোষ ঘাটতির অনুমান ছিল। বাস্তবে ঘাটতি তার থেকে বেশি হবে। তবে জিডিপি-র তুলনায় রাজকোষ ঘাটতির হার ৬.৪%-এর লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের ব্যাখ্যা, বাজেট অনুমানের তুলনায় কর থেকে আয় ভালই হচ্ছে। অনেক মন্ত্রক তাদের বাজেট বরাদ্দ খরচ করতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে। ফলে সেখানে সাশ্রয় হবে।

অর্থ মন্ত্রক কর্তাদের দাবি, আগামী অর্থ বছরে রাজকোষ ঘাটতি ৬.৪% থেকে ৫.৬-৫.৮%-এ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হবে। যা থেকে স্পষ্ট, খয়রাতির পথে হাঁটবে না সরকার। ২০২৫-২৬-এর মধ্যে রাজকোষ ঘাটতি ৪.৫%-একমিয়ে আনার লক্ষ্যেরও পুনরাবৃত্তি করা হবে বাজেটে।

অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, চিন্তা একটাই। তা হলে ঘাটতি মেটাতে ঋণে সুদের হার। গত বাজেটের ঘোষণার দিনই সরকারি ঋণপত্রে সুদের হার বেড়ে গিয়েছিল। এখন মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে ভাবে সুদের হার বাড়াচ্ছে, তার ফলে ভবিষ্যতে সরকারি ঋণপত্রে সুদের হারও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। চলতি অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ১৪.২১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণের ঘোষণা করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement