Anti Defection Law

anti-defection law: দলত্যাগ বিরোধী আইনে বদল নিয়ে মতানৈক্য

দলত্যাগ বিরোধী আইনে রদবদল নিয়ে লোকসভা, বিধানসভা ও বিধান পরিষদের স্পিকারদের সম্মেলনে কোনও ঐকমত্য হল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২১ ০৬:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র।

দলত্যাগ বিরোধী আইনে রদবদল নিয়ে লোকসভা, বিধানসভা ও বিধান পরিষদের স্পিকারদের সম্মেলনে কোনও ঐকমত্য হল না। শিমলায় গত দু’দিন সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনের পরে আজ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আলোচনা হলেও ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়নি। সংবিধানের দশম তফসিল ও দলত্যাগ বিরোধী আইনে দলবদলু সাংসদ বা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার বিধান থাকলেও তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সাংসদ বা বিধায়ক পদে জেতার পরে কেউ দল বদল করলে স্পিকারের কাছে তাঁর সদস্যপদ খারিজের আবেদন জমা পড়ছে। কিন্তু স্পিকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দলবদলু নেতা সংসদে, বিধানসভায় এক দলের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন, বাইরে অন্য দলের হয়ে কাজ করেছেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে গত দু’টি বিধানসভাতেই কংগ্রেস ও সিপিএমের টিকিটে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেওয়া একাধিক বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু কোনও ফয়সালা হয়নি। এ বার বিজেপির হয়ে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে নিয়েও একই জটিলতা। লোকসভায় আবার শিশির অধিকারী, সুনীল মণ্ডলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত ঝুলে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও দাবি উঠেছে, স্পিকারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হোক। এ জন্য দলত্যাগ বিরোধী আইনে সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সি পি জোশীর নেতৃত্বে কমিটি তৈরি হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্ট নিয়েই শিমলায় আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আজ বিড়লা জানান, কমিটির রিপোর্ট পেশ হলেও মতানৈক্য রয়েছে। আগামী সম্মেলনে ফের বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা, বিধানসভায় রাজ্যপালের বক্তৃতা ও জিরো আওয়ারের সময় যাতে কোনও গণ্ডগোল না হয়, তার জন্য সব দলের সঙ্গে স্পিকাররা কথা বলবেন বলে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সম্মেলনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement