ফাইল চিত্র।
লকডাউনে অনেক ছোট সংস্থার কর্মীরা পুরো বেতন পাননি। সেই অভিযোগে ওই সব সংস্থা বা তার মালিকের বিরুদ্ধে এখনই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন্দ্রকে নিষেধ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, লকডাউনের জন্য বহু ছোট সংস্থা ঠিক মতো ব্যবসা করতে পারেনি। সেই জন্যই তারা কর্মীদের বেতন দিতে সমর্থ হয়নি। ওই ছোট সংস্থাগুলির সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন বলেও মনে করে আদালত।
শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘যে সব ছোট কোম্পানি এখনও তাদের কর্মীদের পুরো বেতন দেয়নি, আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।’’
গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক নির্দেশিকায় বলেছিল, লকডাউনে কোম্পানিগুলি যেন কর্মীদের পুরো বেতন দেয়। কেন্দ্রের ওই নির্দেশিকা বাতিলের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির সংগঠন হ্যান্ড টুল ম্যানুফ্যাকচার অ্যাসোসিয়েশন। বিচারপতি এল এন রাও, বিচারপতি এস কে কল ও বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের বেঞ্চে আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার শুনানি হয়। সংস্থাগুলির সংগঠনের আইনজীবী জামশেদ কামা বলেন, ‘‘চাহিদা না-থাকায় কোম্পানিগুলি পণ্য উৎপাদন করছে না। ফলে কোম্পানিগুলিতে কোনও কাজও হচ্ছে না। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশিকা দেখিয়ে, তাদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: রাস্তায় হাঁটলে আদালত থামাবে কী ভাবে: সুপ্রিম কোর্ট
বেঞ্চ বলেছে, লকডাউনে অনেক ছোট সংস্থা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তারা বড়জোড় ১৫ দিন কাজ করেছে। তারা যদি আয় করতেই না-পারে, তা হলে কর্মীদের বেতন দেবে কী ভাবে? শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘২৯ মার্চ সরকার বিবিধ দিক সম্বলিত নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বহু প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। সরকারকেই তার উত্তর খুঁজতে হবে।’’ কোর্টের মতে, সরকার যদি ক্ষুদ্র সংস্থাগুলিকে সাহায্য না-করে, তা হলে তারা কর্মীদের বেতন দিতে পারবে না। আগামী সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শুনানিতে কেন্দ্রের তরফে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি সবিস্তার রিপোর্ট দেবেন।
আরও পড়ুন: মোদীর ভাণ্ডার অটুট, ব্যাঙ্ক ঋণে ভরা প্যাকেজ