প্রতীকী ছবি।
ত্রিপুরার রইস্যাবাড়ি থানার ৭টি রেশন দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তাঁরা এনএলএফটি জঙ্গি গোষ্ঠীকে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তারা বিষয়টি নিয়ে কিছুই জানে না।
গন্ডাছড়া মহকুমার রইস্যাবাড়ি থানার রেশন দোকানের মালিকেরা জানাচ্ছেন, ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে ফোন করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা চায় এনএলএফটি নেতা সৌমেন ত্রিপুরা। সে এনএলএফটি-র উৎপল গোষ্ঠীর নেতা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় গেলে তাঁকে খুন করার হুমকি দিয়েছে সৌমেন।
সেপ্টেম্বরে ত্রিপুরা পুলিশের প্রাক্তন মহানির্দেশক ঘনশ্যাম মুরারী বলেন, সরকার সতর্ক না হলে জঙ্গিরা কয়েক মাসের মধ্যেই ত্রিপুরায় বড় ধরনের অশান্তি শুরু করবে। তার পরেই রাজ্যে জঙ্গি উপদ্রব শুরু হয়েছে। ত্রিপুরার ধলাই জেলায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। অনেক জায়গায় বেড়া পুরনো হয়ে গিয়েছে। বিএসএফের সংখ্যা কম থাকায় ঠিক মতো নজরদারি করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ধলাই থেকে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দূরত্ব খুবই কম। ফলে সীমান্ত পেরিয়ে সহজেই জঙ্গিরা যাতায়াত করছে।