সরস্বতী পুজোর দিন স্পিকারের বিধানসভা কেন্দ্র লখিসরাইয়ে বিজেপির কয়েক জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, উৎসবের আবহে কোভিড বিধি মানেননি তাঁরা।
ফাইল চিত্র।
পাঁচে চার! উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যের ভোটের ফল নিয়ে বিজেপি শিবিরে উল্লাসের রেশ এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই শরিকি সংঘাতের সুর শোনা গেল বিহারের বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, বিধানসভার স্পিকার তথা বিজেপি নেতা বিজয়কুমার সিংহের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক রীতিনীতি ভঙ্গ করার অভিযোগ আনলেন। শুধু স্পিকারই নন, জেডিইউ নেতার নিশানায় ছিলেন জোট শরিক বিজেপির অন্য বিধায়কেরাও।
গতমাসে, সরস্বতী পুজোর দিন স্পিকারের বিধানসভা কেন্দ্র লখিসরাইয়ে বিজেপির কয়েক জন সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, উৎসবের আবহে কোভিড বিধি মানেননি তাঁরা। বিজেপি সমর্থকদের গ্রেফতারির পর স্পিকার হস্তক্ষেপ করতে গেলে পুলিশকর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। এক মাসের পুরনো সেই ঘটনা অবশ্য আজ নাটকীয় মোড় নেয় বিহার বিধানসভায়। স্পিকারের উদ্দেশে নীতীশ অভিযোগ করেন, এই বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে তিনি খোলাখুলি ভাবে সাংবিধানিক রীতিনীতি ভঙ্গ করছেন। বিজেপি সদস্যেরা ওই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছিলেন। সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, নীতীশ কুমারের সরকার অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
তাঁর সরকার সম্পর্কে বিধানসভায় এমন অভিযোগ আসার পরেই মেজাজ হারান নীতীশ। ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমরা কাউকে ফাঁসিয়ে দিই না। রক্ষাও করি না। এটা সরকারের কাজ নয়। কেন আপনারা এসব কথা বলছেন? এমন ভাবে বিধানসভা চালাচ্ছেন।...এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি।’’ বিজেপি বিধায়কদের প্রশ্নে ক্রুদ্ধ নীতীশের জবাব, ‘‘ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে আপনারা কী করবেন। রিপোর্ট তো আদালতে যাবে।’’ এই রিপোর্ট পাওয়ার অধিকার বিধানসভার রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ে স্পিকার বিজয়কুমার সিংহ কিছু বলার চেষ্টা করেন। তাঁর কথা শুনতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজি হননি নীতীশ। চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, ‘‘আপনি সংবিধান বের করুন। এসব নিয়ে বিধানসভার অধিকার রয়েছে কি না,আপনি বলুন তো!...আমার অসুবিধা হচ্ছে। জেনে নিন এই অধিকার বিধানসভার নেই।’’