আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই কাল থেকে নীতীশ কুমার শুরু করছেন ‘সর্ম্পক যাত্রা’। তবে এ যাত্রায় নীতীশ কোনও জনসভা করছেন না। তাঁর লক্ষ্য নিচু তলার দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা। এবং দলের ভীত কতটা শক্ত, সেটাও যাচাই করা।
লোকসভা নির্বাচনে বিহারে জেডিইউয়ের শোচনীয় বিপর্যয়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান নীতীশ। তার পর এই প্রথম নীতীশ রাজনৈতিক জন-সংযোগের কাজ শুরু করছেন। প্রতি বারের মতো এ বারেও পশ্চিম চম্পারণের বেতিয়া থেকে নীতীশ শুরু করবেন তাঁর কর্মসূচি। রাজ্যের ৩৪টি জেলায় ১৭ দিন ধরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। কর্মীদের কাছে তুলে ধরবেন রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার বিষয়টি। তাঁদের বোঝাবেন, এই বিশেষ সুবিধা পেলে রাজ্যের কী লাভ। একই সঙ্গে, তিনি বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদী যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তা যে ‘মিথ্যা’ সেটাও বলবেন কর্মীদের।
এই যাত্রার আগে তাঁর ফেসবুকে নীতীশ লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি বিহার একদিন সারা দেশকে উন্নয়ন এবং ভ্রাতৃত্বের দিশা দেখাবে। এই রাজ্য সামাজিক ন্যায়কে আরও ভাল ভাবে প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।” কেন আগামী বছরের লড়াই বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে, তা নিয়েও তাঁর বক্তব্য তুলে ধরবেন নীতীশ। নীতীশের এই সভায় জোট সঙ্গী আরজেডি এবং কংগ্রেসের জেলা সভাপতিদের উপস্থিত হওয়ার জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নীতীশের এই সফরকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতা সুশীল মোদী জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। তাঁর বক্তব্য, “এই যাত্রায় নীতীশ কুমারকে সরকারি আতিথ্য দেবেন না। তাঁর যাত্রা পথে কোনও হুটার লাগানো গাড়ি যেন না থাকে। যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কারণ নীতীশ কুমার এখন বিধান পরিষদের একজন সদস্য মাত্র।” মোদীর হুঁশিয়ারি, “মনে রাখবেন, আগামী বছর নতুন সরকার আসবে। যে সব অফিসার সরকারি নিয়ম ভাঙবেন তাঁদের সকলকে আমরা চিহ্নিত করে রাখব।” এই বিষয়ে মোদী মুখ্যসচিবকে একটি চিঠিও দিয়েছেন।