আজ থেকে ফের শুরু নীতীশের জনতা দরবার

পটনা সিটির কচ্চি দরগা এলাকার বাসিন্দা মুন্নিদেবীর জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার জমি মাফিয়ারা। ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাদের দরজায় ঘুরে ঘুরে জেরবার তিনি। জমি ফিরে পাওয়ার আশা কার্যত ছেড়ে দিলেও বিচারের আশা ছাড়েননি। সেই আশাতেই আজ সকাল থেকে ১ নম্বর অ্যানে মার্গে, মুখ্যমন্ত্রী নিবাসের সামনে হাজির হয়েছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৩:৪৩
Share:

পটনা সিটির কচ্চি দরগা এলাকার বাসিন্দা মুন্নিদেবীর জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার জমি মাফিয়ারা। ভূমি রাজস্ব দফতরের কর্তাদের দরজায় ঘুরে ঘুরে জেরবার তিনি। জমি ফিরে পাওয়ার আশা কার্যত ছেড়ে দিলেও বিচারের আশা ছাড়েননি। সেই আশাতেই আজ সকাল থেকে ১ নম্বর অ্যানে মার্গে, মুখ্যমন্ত্রী নিবাসের সামনে হাজির হয়েছেন তিনি।

Advertisement

মুন্নিদেবীর মতোই জমি বিবাদে জেরবার দ্বারভাঙার মীরাদেবী। প্রায় বারো বার অ্যানে মার্গে অভিযোগ জানাতে হাজির হয়েছেন তিনি। সামনে থাকা পুলিশকর্মীদের গালাগাল দিতেও পিছপা হচ্ছেন না। তাঁর আশা, এ বার অন্তত মুখ্যমন্ত্রী কিছু একটা সুরাহা করবেন।

মাস পাঁচেক পরে ফের জনতা দরবার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। নির্বাচনের আগে আচরণ বিধি বলবত্ হওয়ায় বন্ধ করতে হয়েছিল জনতা দরবার। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পরে তাই আজকের প্রথম ‘জনতা দরবারে’ ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মহিলাদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই তালিকায় রয়েছেন মুন্নিদেবী। সরকারি অফিসারদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হতেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন তিনি। অভিযোগ শুনে নীতীশ কুমার অফিসারদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিলেন।

Advertisement

পটনা সিটির মুন্নিদেবী, দ্বারভাঙার মীরাদেবীদের সমস্যার সমাধান কতটা হল তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি অভিযোগ জানানোর সুযোগটা কেউই ছাড়তে চান না। ২০০৬-র এপ্রিলে জনসংযোগের এই পথে হাঁটতে শুরু করেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের এক কর্তা জানান, চিকিৎসকরা বারবার তাঁকে জনতা দরবার করতে বারণ করছেন। সংক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে তাতে। কিন্তু মাসের প্রথম তিনটে সোমবার জনতা দরবার বন্ধ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নীতীশ।

জনতা দরবার নিয়ে অভিযোগও উঠেছে বিস্তর। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর আগে মানুষের অভিযোগ ও তার পরিণতি দেখেই পৌঁছতে দেওয়া হয়। অভিযোগ ‘সেন্সর’ করা হয় বলে অভিযোগ। তবে তাতে একটুও জনপ্রিয়তা হারায়নি ‘জনতা দরবার’। প্রতি সপ্তাহে দফতরের মন্ত্রী, প্রধান সচিবদের হাজির করিয়ে মানুষের অভিযোগ শোনেন নীতীশ। দরবার শেষে নীতীশ কুমার বলেন, ‘‘মানুষের অভিযোগ শুনে প্রতিকারের চেষ্টা করাই শাসকের কাজ। সেটাই করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement