ফাইল চিত্র।
দেশে শীঘ্র মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুল। এমন কোনও সম্ভাবনা নেই। ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ (যেখানে আর্থিক বৃদ্ধির হার নিম্নগামী, কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির হার চড়বে) নিয়ে আশঙ্কাও বৃথা। সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ে অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রকে বিঁধে চলেছেন বিরোধীরা। তা নিয়ে আলোচনা চলাকালীন ইউপিএ আমলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গও টানেন নির্মলা। এর পরেই কক্ষত্যাগ করেন কংগ্রেস সাংসদেরা।
নির্মলা বলেন, ‘‘অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের মধ্যেও দেশে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ বা তার নীচে ছিল। এটা মনে রাখা জরুরি। বর্তমানে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ। ইউপিএ জমানায় ২০০৪-’১৪ সালের মধ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার ২২ মাস ধরে ৯ শতাংশের বেশি ছিল। এখন গোটা বিশ্ব জুড়েই খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির হার চ়ড়া। আগামী দিনে ভারতেও তা কমবে।’’ এই প্রসঙ্গে আমেরিকার বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থারও প্রসঙ্গ টানেন নির্মলা। বলেন, ‘‘আমেরিকায় পর দুই ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমেছে। একে অঘোষিত মন্দা পরিস্থিতি বলা হচ্ছে। কিন্তু ব্লুমবার্গের সমীক্ষায় ভারতে মন্দার সম্ভাবনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।’’
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর এই জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিরোধীরা। তুমুল হইহট্টগোলের পর কক্ষত্যাগ করেন কংগ্রেস সাংসদেরা।
নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীরধীরা। তুমুল হইহট্টগোলের পর সংসদ- পাশাপাশি রান্নার গ্যাসের লাগামছাড়া দামবৃদ্ধি নিয়েও সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। সংসদে বেগুন খেয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘বিগত কয়েক মাসে রান্নার গ্যাসের দাম চার বার বেড়েছে। ৬০০ থেকে তা বেড়ে হল ১১০০ টাকা।’’ কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, কংগ্রেস জমানায় জ্বালানির ঋণপত্র কেনা হয়েছিল বলেই জ্বালানির দাম বাড়ছে।