কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই।
বাজেটে কোনও রাজ্যকে ‘বঞ্চনা’ করা হয়নি। বিরোধীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার সংসদের উচ্চ কক্ষে যখন অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা দেন তখন বিরোধীরা ‘ওয়াকআউট’ করেন। সংসদের বাইরে তারা একযোগে ‘বৈষম্য’-এর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায়।
মঙ্গলবার লোকসভায় বাজেট পেশ করেছিলেন নির্মলা। বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যকে ‘বঞ্চনা’ করে বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ঢালাও বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এই বাজেটকে ‘সরকার বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলি। বুধবার তা নিয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষে বক্তৃতা করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রতিটি বাজেটে দেশের প্রতিটি রাজ্যের নাম বলার সুযোগ থাকে না।’’
বুধবার নির্মলা জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার বধাবনে সমুদ্র বন্দর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বাজেটে তার উল্লেখ নেই। তার পরই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘এর অর্থ কি মহারাষ্ট্রকে উপেক্ষা করা হয়েছে? বক্তৃতায় যদি একটি নির্দিষ্ট রাজ্যে নাম বলা না হয়, তবে কি কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি থেকে তারা উপকৃত হয় না? এটা কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে জনগণকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’
তবে তাতেও বিরোধীরা থেমে যায়নি। নির্মলার বক্তৃতার আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বক্তৃতা করার সময় বলেন, ‘‘দু’টি রাজ্য ছাড়া দেশের কোনও রাজ্যই এই বাজেটে উপকৃত হয়নি। সকলের থালা খালি রেখে দু’টি রাজ্যের থালা পকোড়া এবং জিলিপি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ সংসদের বাইরে বিরোধীদের বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন খড়গে। সেই বিক্ষোভে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র-সহ অন্যান্য সাংসদও ছিলেন।
মঙ্গলবার বাজেট পেশ হওয়ার পর সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। সেই বৈঠকেই স্থির হয়েছিল, বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে।