অনলাইনে আবেদন করে নির্ভয়ার মা আশা দেবী আর্জি জানিয়েছেন, দোষীদের সাজার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।
সাত বছর কেটে গেলেও বিচার পাননি তাঁর মেয়ে। অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তিনি এখন ক্লান্ত। ধৈর্য শেষ হয়ে গিয়েছে...।
এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনলাইনে আবেদন করে নির্ভয়ার মা আশা দেবী আর্জি জানিয়েছেন, দোষীদের সাজার প্রক্রিয়ার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।
সাত বছর আগে ১৬ ডিসেম্বর এক ভয়াল রাতের সাক্ষী হয়েছিল রাজধানী দিল্লি। আগামী সোমবার ১৬ ডিসেম্বর, সেই ঘটনা সাত বছরে পড়বে। তার আগেই আশা দেবীর এই আবেদন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ইন্ডিয়াস ডটার হওয়ার আগে ও তো আমার মেয়ে। পাঁচ জন নিষ্ঠুরের হাতে গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পরে অসম্ভব যন্ত্রণা পেয়ে মারা গিয়েছিল ও। চার জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমি এত বছর বিচারের জন্য সম্মানের সঙ্গে অপেক্ষা করে আছি। কিন্তু মামলা ক্রমাগত এই ভাবে চলতে থাকায় আমি ক্লান্ত। আমার ধৈর্য শেষ। কিন্তু মেয়ের খুনিরা শাস্তি না পেলে আমি শান্তি পাব না।’’ নির্ভয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসকের কথা উল্লেখ করে তাঁর আর্জি, মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে বিচারের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আজ জানিয়েছে, নির্ভয়া মামলায় রায় পুনর্বিবেচনার জন্য দোষী সাব্যস্ত অক্ষয় সিংহ ঠাকুরের আর্জি শোনা হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর। গত কয়েক দিন ধরে জল্পনা চলছে, নির্ভয়া মামলায় দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হতে পারে শীঘ্রই। এখন প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্ট ১৭ই অক্ষয়ের আর্জি শুনলে ফাঁসির সম্ভাবনা কি পিছিয়ে যাবে? নির্ভয়া মামলায় অন্য তিন দোষী রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানালেও অক্ষয় তখন আবেদন জানায়নি। বুধবার আর্জি জানিয়েছে সে।
তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ আবার উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে দ্রুত দু’জন ফাঁসুড়ে চেয়ে পাঠিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত ডিজি (জেল) আনন্দ কুমার আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও ফাঁসুড়ে নেই। তাই আমাদের দফতর থেকে ফাঁসুড়ে পাঠানো হবে।’’