বাঁ দিকে বিনয় শর্মা ও ডান দিকে অক্ষয ঠাকুর।— ফাইল চিত্র
দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালতের রায়ে পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছে নির্ভয়া-কাণ্ডের চার দণ্ডিতের ফাঁসি। তার পরের দিন, শনিবার ওই মামলার অন্যতম দণ্ডিত অক্ষয় ঠাকুর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য আবেদন করল।
এ দিন সকালেই ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল নির্ভয়া-কাণ্ডের ওই চার দণ্ডিতের। কিন্তু, শুক্রবার তা স্থগিত হয়ে যেতেই ফের নতুন করে অপরাধীরা প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে শুরু করেছে। এ দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে ওই ঘটনার অন্যতম দণ্ডিত অক্ষয় ঠাকুর। এর আগে অবশ্য, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণদণ্ড মকুবের আর্জি জানিয়েছিল ওই কাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিত বিনয়কুমার শর্মা। অবশ্য, তা খারিজ হয়ে গিয়েছে বলেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর। চার দণ্ডিতের মধ্যে একমাত্র মুকেশ সিংহের সামনে আর কোনও আইনি পথ খোলা নেই। তবে, এখনও প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়নি আর এক অপরাধী পবন গুপ্ত।
শুক্রবার, দিল্লির পাটিয়ালা আদালতে দণ্ডিতদের আইনজীবী আপিল করেন, ১ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার, চার জনের ফাঁসির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। তিনি যুক্তি সাজান, অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছে। আরও দুই সাজাপ্রাপ্ত, অক্ষয়কুমার সিংহ এবং পবন গুপ্তের সামনে এখনও ফাঁসির আদেশ চ্যালেঞ্জ করার আইনি পথ খোলা রয়েছে। চার দণ্ডিতের মধ্যে একমাত্র মুকেশ সিংহের সামনেই আর কোনও আইনি পথ খোলা নেই। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, একই অপরাধে দণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ড একই দিনে কার্যকর করতে হবে। তাই শনিবার শুধু মুকেশের ফাঁসি হওয়া সম্ভব নয়। এই যুক্তিতে চার জনেরই ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া হোক বলে দাবি জানান তিনি। অপরাধীদের আইনজীবীর সেই আর্জি শুনে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেন পাটিয়ালা আদালতের বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরে ফাঁসি স্থগিত করার রায় দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ স্থগিত, ফাঁসি কবে বলল না কোর্ট
আরও পড়ুন: লড়াই চালিয়ে যাব: নির্ভয়ার মা
নির্ভয়া-কাণ্ডে অপরাধীদের ফাঁসি নিয়ে আইনি জটিলতার মধ্যেই ফাঁসি দেওয়ার জন্য শুক্রবার তিহাড়ে পৌঁছেছেন মেরঠের পবনকুমার জহ্লাদ। তিহাড় জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দণ্ডিতদের সম-ওজনের মাটি ও পাথর ভর্তি বস্তা দিয়ে ফাঁসির মহড়াও সারা হয়ে গিয়েছে তাঁর।