নির্ভয়া কাণ্ডের চার দণ্ডিত। —ফাইল চিত্র
নির্ভয়া কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত তিন দণ্ডিতের সামনে সমস্ত আইনি বিকল্পের পথ শেষ। বাকি শুধু পবন গুপ্ত। সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) ও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা— এই দুই পথ খোলা তার সামনে। কিন্তু আইনজীবী সংক্রান্ত জটিলতার জেরে আইনি প্রক্রিয়া সারতে পারছে না বলে দাবি করে পবন। জানা গিয়েছে, আগের আইনজীবীকে পবন সরিয়ে দিয়েছে। নয়া আইনজীবী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পবন আবেদন জানাতে পারছে না।
সমস্যা মেটাতে বুধবার নতুন আইনজীবী নিযুক্ত করার প্রস্তাব দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এ দিন বলেন, ‘‘অপরাধী যত নিন্দিতই হোক না কেন, শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তার আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’’ জট কাটাতে পবনের বাবাকে আইনজীবীদের তালিকা দেখানোর নির্দেশ দেয় আদালত। ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিসেস অথরিটি-র (ডিএলএসএ) ওই তালিকা থেকে এক আইনজীবীকে বেছে নিতে বলা হয়। তবে পবন আইনজীবী নিয়োগ করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় দেরি নিয়ে বুধবার অসন্তোষ জানান বিচারক।
আইনি জটিলতায় ২২ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি চার দণ্ডিতের বিরুদ্ধে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করেও তা কার্যকর হয়নি। ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট অপরাধীদের সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য ৭ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়, যা মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে। এ বার নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জি নিয়ে মামলাকারীরা নিম্ন আদালতে যেতে পারেন বলে মঙ্গলবার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো নিম্ন আদালতে মৃত্যু-পরোয়ানা জারির আবেদন জানান নির্ভয়ার বাবা-মা। বৃহস্পতিবার তার শুনানি। তার আগে আদালত পবনকে আইনি সহায়তা দেওয়ার কথা জানানোয় ক্ষুব্ধ নির্ভয়ার মা আশাদেবী আজ বলেন, ‘‘দোষীদের সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। ওরা (আদালত) যেন শাস্তি দিতেই চায় না।’’ নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে, দোষীদের প্রতি বিচারকের নরম মনোভাব রয়েছে। জানি না কেন বার বার কোর্টে হেনস্থা হচ্ছি।’’