নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত চার জন।—ছবি পিটিআই।
নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত চার জনকে ফাঁসি দেওয়ার চূড়ান্ত পরোয়ানা জারি করেছে দিল্লির একটি আদালত। আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় তিহাড় জেলে তাদের ফাঁসি দেওয়ার কথা। তার আগেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করল ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিনয় শর্মা এবং মুকেশ। নিজের পিটিশনে বিনয় বলেছে, ‘‘আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক একপেশে মনোভাব রয়েছে। তাই ফাঁসির পরোয়ানার খাঁড়া মাথায় না ঝুলিয়ে ফের এই মামলার প্রকাশ্য আদালতে শুনানি হওয়া প্রয়োজন।’’ একই সঙ্গে ওই পিটিশনে তার বক্তব্য, নির্ভয়ার ঘটনার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। সামাজিক এবং অন্যান্য পরিস্থিতিও এ ব্যাপারে দায়ী। ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে এটাই তাদের তরফে শেষ আইনি পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, কিউরেটিভ পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের কোনও প্রবীণ আইনজীবীর তরফে একটি সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। এ দিন বিনয়ের আবেদনের সঙ্গে সেই সার্টিফিকেট দিতে রাজি হননি শীর্ষ আদালতের সিংহ ভাগ আইনজীবীই। অবশেষে আদেশ চন্দ্র আগরওয়াল নামে এক প্রবীণ আইনজীবী সেই সার্টিফিকেট দিতে সম্মত হন। তার পরেই দাখিল হয় কিউরেটিভ পিটিশনটি।
এর মধ্যেই ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চার জনকে অঙ্গদান নিয়ে বোঝাতে চেয়ে এ দিন দিল্লির একটি আদালতে আবেদন করেছে একটি অসরকারি সংস্থা। আবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, অঙ্গদান করলে তা যেমন সমাজের কাজে লাগবে, তেমনই অপরাধীদের পাপ ধুয়ে ফেলতেও তা সাহায্য করবে। কারাগারে গিয়ে এই সমস্ত বিষয়ই তারা চার জনকে বোঝাতে চায়। আগামিকাল মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি, নির্ধারিত তারিখের আগেই তিহাড় জেলে ফাঁসির মহড়া হওয়ার কথা রয়েছে। ফাঁসির আগে পর্যন্ত চার জনকেই নির্জন কক্ষে রাখা হবে। ২২ তারিখের আগে পরিবারের সঙ্গে শেষ বার দেখা করার সুযোগও পাবে তারা।