ফাঁসি রদের আর্জি খারিজ। ছবি: পিটিআই।
নির্ভয়ার ধর্ষক অক্ষয় কুমার সিংহের ফাঁসি রদের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ২০১৭-র রায়ই ঠিক ছিল। এ নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তার কিছু নেই। তাঁর কাছে নতুন তথ্য রয়েছে, সেগুলি নতুন করে খতিয়ে দেখা উচিত বলে এ দিন আদালতে দাবি করেন অক্ষয়ের আইনজীবী এপি সিংহ। কিন্তু তাঁর সেই দাবি খারিজ করে দেয় তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, এই তথ্য নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। সাজা পুনর্বিবেচনা কখনও মামলার নতুন করে শুনানি হতে পারে না।
দীর্ঘ সাত বছর লড়াইয়ের পর আজকের রায়ে কিছুটা স্বস্তিতে নির্ভয়ার পরিবার। আদালত থেকে বেরিয়ে তাঁর মা আশাদেবী বলেন, ‘‘আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি আমি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলাম।’’ তবে নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ সিংহ জানান, বলেন, ‘‘সাজা পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কিন্তু পাটিয়ালা হাউস কোর্ট ফাঁসি কার্যকর করার আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছি না আমরা।’’
তবে আদালতে আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারে অক্ষয়। তার জন্য আদালতে তিন সপ্তাহের সময় চান তার আইনজীবী এপি সিংহ। কিন্তু তাতে আপত্তি তোলেন সলিশিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোই দস্তুর। তাতে সায় দেয় আদালত। ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
• রায় পুনর্বিবেচনা মানে নতুন করে মামমালর শুনানি নয়।
• সুপ্রিম কোর্ট: আগের রায়ই ঠিক ছিল। এ নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তার কিছু নেই।
• নির্ভয়াকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডের সাজাই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
• রায় দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।
• দুপুর ১টায় রায় শোনাবে সুপ্রিম কোর্ট।
• সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা: মানবতা বিরোধী এই অপরাধের কোনও ক্ষমা হয় না। অযথা মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে।
• এপি সিংহ: দাবি উঠলেও মামলায় সিবিআই তদন্ত হয়নি। আসল অপরাধীদের ধরতে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়াই হয়নি। তদন্তকারী অদক্ষতা দেখিয়েছেন।
• এপি সিংহ: চারজনকে ফাঁসি দিলে নির্ভয়ার মাকে হয়ত প্রবোধ দেওয়া যাবে, কিন্তু অন্য চারজনকে তার জন্য ভুগতে হবে। এটা প্রতিশোধ নেওয়াই হবে। সমাজই আসল অপরাধী। কারণ কেউ ধর্ষক হয়ে জন্মায় না, সমাজই ধর্ষক তৈরি করে।
• এপি সিংহ: জাল রিপোর্ট তৈরি করে আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা।
• এপি সিংহ: অক্ষয়য়ের নামও মুখে আনেননি নির্যাতিতা।
• এপি সিংহ: মৃত্যুর আগে প্রথম বয়ানে কারও নাম করেননি নির্যাতিতা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা-ও জানাতে পারেননি তিনি। সেপটিসিমিয়া এবং ওষুধের ওভারডোজের কারমেই ওঁর মৃত্যু হয়েছে।
• এপি সিংহ: মৃত্যুদণ্ড দিলে অপরাধী তো মারা যায়, কিন্তু অপরাধ শেষ হয় না।
• এপি সিংহ: মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার এবং ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। গাঁধীজি এর বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা দিল্লিতে বাস করছি, এখানকার পরিস্থিতিই গ্যাস চেম্বারের মতো।