ব্যাঙ্ক জালিয়াতিতে নীরবকে সাহায্য করেছিলেন তার বোন ও ভগ্নিপতি।
একা নীরব মোদী নন। প্রতারণা চক্রে তার সঙ্গে ছিলেন বোন পূর্বী মেহতা এবং ভগ্নিপতি ময়াঙ্ক মেহতা। নীরব মোদী যে ব্যাঙ্ক প্রতারণার টাকা পূর্বী এবং মায়াঙ্কের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেছিলেন, তা সাম্প্রতিক তদন্তে ধরা পড়েছে।
এ বছর জানুয়ারিতে ভারত থেকে চম্পট দেন নীরব। তদন্তে জানা গিয়েছে, সেই সময় সিঙ্গাপুরের ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট’- এর তকমা পাওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করেছিলেন। আবেদন পত্রে নীরব বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী ব্যবসার জন্য তার সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব দরকার। প্রতি মাসে তার রোজগার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা।
মনে করা হচ্ছে, পিএনবি জালিয়াতি করে পাওয়া ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বড় অংশ বোন এবং ভগ্নিপতির অ্যাকাউন্টে পাচারের পরেই তিনি দেশ ছাড়েন। ফাইন ক্লাসিক এফজেড নামে একটি সংস্থার মালিকানা রয়েছে নীরবের বোন পূর্বীর হাতে। কখনও নীরব তার বোনের সংস্থায় অর্থ পাঠিয়েছেন। অন্য সংস্থার শেয়ার কিনে বোনকে হস্তান্তর করেছেন। কখনও আবার ঋণ শোধের অজুহাতে চালান করে দেওয়া হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য হাজার হাজার কুকুর নিধন রাশিয়ায়?
আরও পড়ুন: কুকুর মরলেও কি মোদীকে বলতে হবে? গৌরী-হত্যায় মন্তব্য শ্রীরাম সেনার
দেখা যাচ্ছে, প্রতারণায় যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন পূর্বীর স্বামী মায়াঙ্ক। এক বার দুবাইয়ের একটি ভুয়ো কোম্পানি থেকে মোটা অর্থ এসেছিল ময়াঙ্কের অ্যাকাউন্টে। ময়াঙ্ক সেই অর্থ থেকে পূর্বীকে তিন কোটি ডলার উপহার দেন। পূর্বী ভারতের ব্যাঙ্কে দু’কোটি ডলার ফিক্সড ডিপোজিট(এফডি)করেন। সেই এফডি-র নথি ব্রিটেনে ঋণ পেতে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এ দিকে তদন্তে জানা গিয়েছে, নীরব মোদীর নামে ছ’টি ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। সম্ভবত সেই পাসপোর্ট নিয়ে তিনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে ঘুরছেন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।