জঙ্গি সানির খোঁজে হন্যে এনআইএ

খাগড়াগড়ের মূল পাণ্ডাই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পক। সেই সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে সানিকে খুঁজছে জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ)। ধৃত তিন জঙ্গি— কওসর, আদিল এবং তুহিনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে এনআইএ।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

খাগড়াগড়ের মূল পাণ্ডাই বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের মূল পরিকল্পক। সেই সালাউদ্দিন সালেহিন ওরফে সানিকে খুঁজছে জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ)। ধৃত তিন জঙ্গি— কওসর, আদিল এবং তুহিনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে এনআইএ। ১৯ জানুয়ারি বুদ্ধগয়ার কালচক্র ময়দানে বিস্ফোরণ এবং মহাবোধি মন্দির সমেত ৪ জায়গায় বিস্ফোরক লাগানোর মূল পরিকল্পনা এই সালাউদ্দিনের। এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম রয়েছে তার।

Advertisement

এনআইএ সূত্রের মতে, বুদ্ধগয়া হামলার আগে আল কায়দার সেন্ট্রাল কম্যান্ড থেকে অনুমোদন নিয়েছিল সালাউদ্দিন। বিস্ফোরণের আগে ডিসেম্বরে জহানাবাদের হোটেলে এক রাত সে কাটায়। এ ছাড়া কওসরদের সঙ্গে গিয়ে বুদ্ধগয়ার ঘটনাস্থলও সে ঘুরে দেখে। তবে দীর্ঘ কয়েক মাস কওসরদের সঙ্গে সালাউদ্দিনের যোগাযোগ ছিল না বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ-মালদহের নতুন ছেলেদের নিয়ে স্থানীয় মডিউল তৈরি করছে সে। উত্তরবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বৌদ্ধ ধর্মস্থানে হামলা করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা সালাউদ্দিন ২০০১ সালে তৈরি হওয়া জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ১৩টিতে ইতিমধ্যেই সাজা ঘোষণা হয়েছে। ৩টি মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সে। ২০১৪-র ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আসামি সালাউদ্দিন ও রকিবুল হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদের পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কওসরকেও ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। পরে রকিবুল এনকাউন্টারে মারা যায়। সেই সময়েই ভারতে পালিয়ে আসে সালাউদ্দিন ও কওসর। ওই বছরেরই ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেএমবি নাম প্রকাশ্যে আসে। বছর চল্লিশের সালাউদ্দিন খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত বীরভূমের কীর্ণাহারের নিমড়া গ্রামে ছিল।

Advertisement

এর পরেই সালাউদ্দিন ভারতে তৈরি করে নতুন সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া (জেএমআই)। নিজেকে সেই সংগঠনের আমির (প্রধান) হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং অসমের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার চালায় সে। এনআইএ সূত্রের খবর, মাস কয়েক আগেও মুর্শিদাবাদে দেখা গিয়েছে তাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement