এনআইএ-র হাতে তদন্তভার। —ফাইল চিত্র।
ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিল কেন্দ্র। সোমবারই ফোনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা হয় ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানইয়াহুর। ইজরায়েলি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই ঘটনার সঙ্গে ইরানের যে যোগসূত্রের ইঙ্গিত উঠে আসছে, তা খতিয়ে দেখবে এনআইএ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘মামলার সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, তাই এনআইএ-কে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। মামলার কাগজপত্র, সিসিটিভ ফুটেজ, বিস্ফোরকের নমুনা, হুমকির চিঠি এবং যাবতীয় প্রমাণ, যা কিছু দিল্লি পুলিশের হাতে ছিল, সব এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’ কে বা কারা বোমা রেখেছিল, তা যদিও এখনও জানা যায়নি। তবে বিস্ফোরণে তেহরান যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি রাজধানীর সন্ত্রাস দমন বিভাগের আধিকারিকদের।
ওই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই নেতানইয়াহুকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ইজরায়েলি কূটনীতিক এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মামলার শিকড় খুঁজে বার করতে চেষ্টায় কোনও খামতি রাখা হবে না।
গত ২৯ জানুয়ারি দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে তুলনামূলক কম তীব্রতায় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে কেউ হতাহত না হলেও, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দিল্লি। ঘটনার পর থেকে ইজরায়েলি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে আসছে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।