National news

আমেরিকায় গুরুতর অসুস্থ উত্তর কলকাতার ছাত্র, পাশে দাঁড়ালেন সুষমা

ফের ত্রাতার ভূমিকায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার সুদূর নিউ ইয়র্ক থেকে আসা এক টুইটেই সাড়া দিলেন তিনি। এ বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কলকাতায় দেবার্পণের পরিবারের দিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ১২:০১
Share:

সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।

ফের ত্রাতার ভূমিকায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শুক্রবার সুদূর নিউ ইয়র্ক থেকে আসা এক টুইটেই সাড়া দিলেন তিনি। এ বার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কলকাতায় দেবার্পণের পরিবারের দিকে।

Advertisement

কলকাতার দেবার্পণ মুখোপাধ্যায় আর্মহাস্ট স্ট্রিট থানা এলাকার সুকিয়া স্ট্রিটের বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করার পর দেবার্পণ বেঙ্গালুরুতে চাকরি করতেন। বছর খানেক হল সেই চাকরি ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় যান তিনি। সেখানে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সম্প্রতি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ নিয়ে সেখানকার জামাইকা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাঁর অবস্থা গুরুতর। দেবার্পণের বাবা-মা কলকাতায় থাকেন। পাসপোর্ট এবং ভিসার সমস্যায় তাঁরা ছেলের কাছে যেতে পারছেন না। অথচ দেবার্পণের চিকিৎসার জন্যই খুব দ্রুত তাঁদের সেখানে পৌঁছনো জরুরি।

আরও পড়ুন: সইফুল্লার বাবার জন্য সরকার গর্বিত, বললেন রাজনাথ

Advertisement

এর পরই এই অসুবিধার কথা জানিয়ে সাহায্য চেয়ে সুষমার টুইটার অ্যাকাউন্টে পরপর কতগুলো টুইট করা হয়। দেবর্পনের নিউ ইয়র্কের বন্ধুরাই টুইটগুলি করেছিলেন। টুইটে তাঁরা বিদেশমন্ত্রী সুষমাকে অনুরোধ করেন, দেবার্পণের বাবা-মার জন্য এমারজেন্সি পাসপোর্ট এবং ভিসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।

নজরে আসা মাত্রই সুষমা দেবার্পণের বাবা-মার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রত্যুত্তরে তিনি টুইট করেন, ‘‘এইমাত্র জানতে পারলাম দেবার্পণের কথা। কলকাতায় তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। সাহায্যের জন্য যা কিছু করণীয় করা হচ্ছে।’’

এ দিন কলকাতায় দেবার্পণের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে শুধুমাত্র তাঁর এক পিসি রয়েছেন। তিনি জানান, দেবার্পণের বাবা দেবাশিসবাবু এবং তাঁর মা টিঙ্কু কিছু আইনি কাজ সারতে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছেন। দেবাশিসবাবু রেলকর্মী। রোজই দেবার্পণ ফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। কখনও শারীরিক কোনও অসুস্থতার কথা জানাননি। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। বিদেশমন্ত্রী সুষমার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ হয়েছে কি না তাও জানাতে পারেননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement