স্কুটি এবং সেই নম্বরপ্লেট।
শখ করে স্কুটি কিনেছিলেন। কিন্তু সেই স্কুটিই এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক তরুণী ও তাঁর পরিবারের কাছে। না, কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নয়। যে সমস্যার জন্য তরুণী ও তাঁর পরিবারের বাড়ি থেকে বেরোনো মুশকিল হয়ে পড়েছে তা শুনে হতবাক হবেন।
সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলেজে যাওয়ার জন্য দিল্লির এক তরুণীকে তাঁর বাবা শখ করে স্কুটি কিনে দিয়েছিলেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু স্কুটির নম্বরপ্লেট আসতেই সমস্ত খুশি যেন এক মুহূর্তেই উবে গিয়েছিল। স্কুটির যে নম্বরপ্লেট পেয়েছেন তরুণী, তাতে সংখ্যার সঙ্গে যে ইংরাজি হরফ থাকে তা অদ্ভুত ভাবে এসেছে, এসইএক্স (সেক্স)। এই নম্বরপ্লেট গাড়িতে লাগাতেই সমস্যা তৈরি হয়। এমন একটি শব্দ স্কুটিতে লেখা দেখে আশপাশের লোকজনও নাকি কটাক্ষ করতে শুরু করে দেন বলে অভিযোগ।
এই সেই স্কুটি। ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
যে স্কুটি নিয়ে কলেজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এখন সেই স্কুটিকেই ঘরবন্দি করে রাখতে পারলে তাঁদের যেন স্বস্তি। তরুণী ও তাঁর পরিবার গাড়ির নম্বরপ্লেট বদলানোর জন্য আরটিও দফতরে আর্জি জানান। কিন্তু সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এটা সম্ভব নয়। দিল্লি পরিবহণ দফতরের কমিশনার কে কে দাহিয়ার দাবি, এক বার গাড়ির নম্বর বেরিয়ে গেল তা বদলানোর কোনও আইন এখনও পর্যন্ত নেই।
ফলে ওই ‘এসইএক্স’ নম্বরপ্লেটই এখন সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লির তরুণীর। নতুন গাড়ি কিনেও তা ঘরবন্দি করে রাখতে হচ্ছে তাঁকে।