প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশের সঙ্গে জলসীমান্তে নিরাপত্তা ও নজরদারি আরও বাড়াচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশায় সামুদ্রিক নিরাপত্তার হালহকিকত বুঝতে হাজির হয়েছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর পূর্ব উপকূলের ভারপ্রাপ্ত এডিজি কে সি পাণ্ডে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সুরক্ষার বাড়তি বন্দোবস্ত হিসেবে নতুন রেডার স্টেশন গড়া হচ্ছে। টহল দিতে আসছে নয়া জাহাজ।
বাংলাদেশের সঙ্গে জলসীমান্তে ফাঁকফোকর অনেক। রয়েছে সুন্দরবনের চোরাশিকার, অনুপ্রবেশ। এবং জঙ্গি হামলার আশঙ্কাও। কিন্তু এই সীমান্ত দিয়েই বাণিজ্যের নতুন পথ বার করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারা চায়, এই পথে পণ্যবাহী জাহাজের চলাচল আরও বা়ড়ুক। উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। বাড়ছে মায়ানমার সীমান্তে নজরদারি।
জাহাজ পরিবহণের উন্নতির ক্ষেত্রে বন্দরগুলির আধুনিকীকরণ ও নতুন বন্দর তৈরির প্রকল্প (সাগরমালা) নেওয়া হয়েছে। সেই প্রকল্পে সাগরদ্বীপে নতুন বন্দর গড়ে তোলার কথা। বাংলাদেশের সঙ্গে জল-পরিবহণ বেড়েছে। তার উপরে নতুন বন্দর হলে নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে। পূর্ব উপকূলের এই গুরুত্ব বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সামগ্রিক ভাবে পূর্ব উপকূল ও আন্দামানের নিরাপত্তা দেখভালের জন্য নতুন এ়়ডিজি-পদ তৈরি করা হয়েছে। কে সি পাণ্ডেই সেই পদে প্রথম অফিসার। দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই প্রথম সরেজমিনে নিরাপত্তা দেখতে এলেন তিনি।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র ডেপুটি কম্যান্ডান্ট অভিনন্দন মিত্র জানান, পশ্চিমবঙ্গ-ওডিশা উপকূলে নিরাপত্তায় জড়িত অন্যান্য সরকারি দফতরের কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন পাণ্ডে। কলকাতায় এসে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি।