সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে গিয়ে অসমে গাড়ির মাথায় লাল বাতি লাগানোর বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলল হাইকোর্ট।
অসম সরকারের পরিবহণ দফতরের বর্তমান নির্দেশিকার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রাজীব কলিতা। আজ তাঁর আইনজীবী ভাস্কর দেব কোঁয়র হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জানান, পরিবহণ দফতর এমন অনেককে লালবাতি প্রাপকের তালিকায় রেখেছে যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট করা ভিভিআইপি নন। এই তালিকায় প্রতিমন্ত্রী, পরিষদীয় সচিব, লোকায়ুক্ত ও উপ-লোকায়ুক্ত, মুখ্যসচিব, ডিজিপি, মুখ্য তথ্য কমিশনারের নাম রয়েছে। কোঁয়রের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের তালিকার বাইরে গিয়ে এমন ব্যক্তিদের লাল বাতির অনুমতি দেওয়া বেআইনি। পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির যথেচ্ছ হুটার বাজানো এবং ভিআইপি চলাচলের সময় অন্য গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেও আবেদন জানানো হয় এই জনস্বার্থ মামলায়। তিনি সওয়ালে বলেন, শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারপতি, পূর্ণমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার, স্বশাসিত পরিষদের সিইএমরা কর্তব্যরত অবস্থায় লালবাতি ব্যবহার করতে পারেন। ভারত সরকারের নিয়মানুযায়ী ভিভিআইপি যাতায়াতের সময় তিন মিনিটের বেশি গাড়ি চলাচল থামানো উচিত নয়। কিন্তু এত দিন তার চেয়ে অনেক বেশি সময় যান চলাচল থামিয়ে রাখা হত। যদিও নতুন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল লালবাতির ব্যবহার কমানো ও যান নিয়ন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আজ শুনানির পরে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অজিত সিংহ ও বিচারপতি সুমন শ্যাম রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, ভিভিআইপির নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ও ভারত সরকারের
নিয়ম ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাথায় রেখে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক ও নতুন নির্দেশ জারি করা হোক।