নাবালিকা বিবাহ-বিরোধী আইন মুসলিমদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানিয়ে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। যাঁরা মুসলিম ব্যক্তিগত আইনে কোনও সংশোধন আনতে দেননি, তাঁরা ওই সম্প্রদায়েরই ক্ষতি করেছেন বলেও মন্তব্য করেছে বিচারপতি জে বি পারডিওয়ালার বেঞ্চ।
বছর ষোলোর এক কিশোরীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন আমদাবাদের বাসিন্দা ইউনুস শেখ নামে ২৮ বছরের এক যুবক। ওই ঘটনায় বিরুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। তা থেকে বাঁচতে হাইকোর্টে মামলা করেন ইউনুস। তাঁর যুক্তি, মেয়েটি নাবালিকা হলেও মুসলিম ব্যক্তিগত আইন অনুযায়ী ওই বিবাহ অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলাই রুজু করা হোক না কেন, মুসলিম ব্যক্তিগত আইন তাঁর রক্ষাকবচ হতে পারে। কিন্তু তা মানতে রাজি হয়নি গুজরাত হাইকোর্ট।
বেঞ্চের মতে, ‘‘বাড়ির অমতে একটি নাবালিকার সঙ্গে তার থেকে ১২ বছর বড় এক জনের বিয়ে হয়ে গেল। মেয়েটির দিক থেকে এটা শিক্ষা ও পরিণত মানসিকতার অভাবের পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ বিচারপতি পারডিওয়ালার মতে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যেও শিক্ষার প্রসার, আর্থিক প্রয়োজনের ফলে সামাজিক পরিবর্তন আসছে। তাঁরাও ১৬-১৭ বছরের মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কুফল বুঝতে পারছেন।