অটোচালকদের জেরা করে মিলেছে নয়া তথ্য

যে ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো অটোয় জঙ্গিরা বালাজান-তিন আলি বাজারে পৌঁছেছিল, সেটি কোকরাঝাড় থানার সিম্বরগাঁও গ্রামের দিক থেকে এসেছিল। তদন্তে পুলিশ এটাও জেনেছে, ওই অটোয় উঠেছিল কোকরাঝাড় হামলার মূল পাণ্ডা মনজয় ইসলারি (২৬) ওরফে এন মাওদান। তবে মনঞ্জয়ের পরিজনদের দাবি, দেহটি তাঁর নয়।

Advertisement

রাজীব চৌধুরী

কোকরাঝাড় শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫৩
Share:

যে ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো অটোয় জঙ্গিরা বালাজান-তিন আলি বাজারে পৌঁছেছিল, সেটি কোকরাঝাড় থানার সিম্বরগাঁও গ্রামের দিক থেকে এসেছিল। তদন্তে পুলিশ এটাও জেনেছে, ওই অটোয় উঠেছিল কোকরাঝাড় হামলার মূল পাণ্ডা মনজয় ইসলারি (২৬) ওরফে এন মাওদান। তবে মনঞ্জয়ের পরিজনদের দাবি, দেহটি তাঁর নয়। অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে দেহটির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। নিরাপত্তা রক্ষীদের দাবি, শুক্রবার কোকরাঝাড়ের বালাজান-তিন আলি সপ্তাহিক বাজারে ঢুকে গুলি চালান মনজয়। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

সেই সূত্রেই অটো-রহস্য উদ্ধারেরও আশা করছেন গোয়েন্দারা। অটোয় নম্বরপ্লেটে লেখা রয়েছে, এস-১৬-সি-৬৩৪০। অথচ অসম পরিবহণ দফতরের কাছে ওই নম্বরের কোনও অটো নথিভুক্ত হয়নি। কিন্তু, নম্বর ভুয়ো হলেও শুক্রবার বালাজান-তিনআলি বাজারে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত আস্ত অটোটি তা হলে কার? সেই জট ছাড়াতে নেমে, ইতিমধ্যেই পুলিশ ও গোয়েন্দারা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন।

তদন্তে জানা গিয়েছে, সিম্বরগাঁও গ্রামের দিকে অটোটি দেখেছেন অনেকেই। কয়েকজনের কাছে পুলিশ জেনেছে, নীল বর্ষাতি পরা মনজয়ও ওই অটোয় চড়ে বসেছিল। পথে আরও এক এনডিএফবি (এস) জঙ্গিকে ওই অটোতে তুলে নেন তিনি। শুক্রবার ওই ঘটনার পরেই পুলিশ ওই চালক এবং খালাসি সহ অটোটি ধরে ফেলে। যদিও এখনও ওই অটো চালক মালিকের বিষয়ে মুখ খোলেননি। ধৃতদের নাম, রঞ্জিত নার্জারি এবং আবদুল রহমান সেখ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, সিম্বরগাঁও গ্রামেই মনজয়ের বাড়ি। সেখান থেকে বালাজান-তিনআলি সপ্তাহিক বাজার এলাকা পর্যন্ত নিয়মিত একাধিক অটো যাতায়াত করে। সেই অটো চালকদের কাছ থেকেই বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কয়েক জন অটো চালকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ওই দিন ওই অটোটিকে দেখেছিলেন ওই রুট দিয়ে যেতে।

ওই সিম্বরগাঁও গ্রামের অদূরে ৫ কিলোমিটার দূরেই ভুটান। ওই দিন ভুটান সীমান্তে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই সীমান্তের কোনও একটি জায়গা থেকে ওই দুই জঙ্গি কোকরাঝাড়ে ঢুকেছিল বলে সন্দেহ জোরদার হয়েছে। কারণ, দুজন জঙ্গিই নীল রেনকোট পরে অটোয় ওঠে বলে পুলিশ জেনেছে। কোকরাঝাড় জেলার পুলিশ সুপার শ্যামল শইকিয়া বলেন, ‘‘অটো রহস্যের জট অনেকটাই খুলেছে। চালক এবং খালাসিকে জেরা করা হচ্ছে। পলাতক জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছে ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement