চিন এবং পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত দ্রুত অত্যাধুনিক বন্দুক হাতে পেতে চাইছে ভারত। ছবি: ফাইল চিত্র।
সেনাবাহিনীর জন্য ১ লক্ষ ৬৬ হাজারের বেশি বন্দুক কেনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়ে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অস্ত্রশস্ত্র কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী মন্ত্রকের যে পরিষদ, সেই ‘ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল’ (ডিএসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে।
৭২ হাজার ৪০০টি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং ৯৩ হাজার ৮৯৫টি ক্লোজ-কোয়ার্টার ব্যাটল কার্বাইন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিন এবং পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন থাকা বাহিনীর চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এই বিপুল অস্ত্রসম্ভার কেনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
বহু বছর ধরেই সেনাবাহিনী নতুন কার্বাইন এবং অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার দাবি জানিয়ে আসছে। সে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাত্র একটি সংস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। তাই ২০১৬ সালে সরকার বন্দুক কেনার প্রক্রিয়া থামিয়ে দেয়। কিন্তু পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে আর দেরি করতে চাইছে না মন্ত্রক। তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের নেতৃত্বাধীন ডিএসি এ দিন ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লক্ষ ৬৬ হাজারেরও বেশি বন্দুক কেনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হজে আর কোনও ভর্তুকি নয়, জানিয়ে দিল কেন্দ্র
আরও পড়ুন: ‘বিদ্রোহী’দের মুখোমুখি প্রধান বিচারপতি মিশ্র
আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই অ্যাসল্ট রাইফেল এবং ক্লোজ-কোয়ার্টার ব্যাটল কার্বাইন কেনা হবে। বিভিন্ন সংস্থার তৈরি অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল এবং কার্বাইনের সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখবে ভারতীয় সেনা। তার ভিত্তিতেই বাছাই বন্দুকের তালিকা তৈরি হবে। তার পর যত দ্রুত সম্ভব চুক্তি স্বাক্ষর করে বন্দুক কেনা হবে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আহ্বান জানানো হবে ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা ডিআরডিও-ও এই প্রক্রিয়ায় ডাক পাবে বলে মন্ত্রক সূত্রের খবর।