কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে পবন বনসল, রণদীপ সুরজেওয়ালা, রাহুল গাঁধী। ছবি: পিটিআই
৫ রাজ্যে নির্বাচনের পর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবেন। কংগ্রেসের দলীয় আলোচনায় শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর ‘উত্তপ্ত’ আলোচনার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সবার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এ বার দ্রুত এই সমস্যা মেটান এবং এগিয়ে চলুন।’’
কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২১ সালের জুন মাসে নতুন কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হবেন। কেসি বেণুগোপাল দলের এই সিদ্ধান্ত বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, মুকুল ওয়াসনিক ও পি চিদম্বরমের মতো নেতারা দ্রুত সভাপতি নির্বাচিত করার কথা বলেছেন। সাম্প্রতিক কালে একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের খারাপ ফল হওয়ার কারণে অনেক শীর্ষ স্থানীয় নেতা নেতৃত্বে বদল আনার কথা বারবার বলেছেন। শুক্রবার যেন কিছুটা সেই সুরেই দ্রুত নির্বাচনের প্রসঙ্গ ওঠে।
অন্য দিকে, গাঁধীপন্থী কংগ্রেস নেতা, অশোক গহলৌত, অমরিন্দর সিংহ, একে অ্যান্টনি, তারিক আনোয়াররা বলেছেন, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পরেই কংগ্রেসের দলীয় নির্বাচন করা উচিত। সংবাদ সংস্থার দাবি, নেতাদের মধ্যে আলোচনায় একজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘বিজেপি এ ভাবে নিজেদের দলের নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করে না। আমাদের প্রধান লক্ষ্য এখন হওয়া উচিত ৫ রাজ্যে নির্বাচনে লড়াই করা।’’
শেষ পর্যন্ত অপর পক্ষ এই দাবি মেনে নেয়। দ্রুত কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেবে, তারপর চূড়ান্ত মত দেবেন সনিয়া গাঁধী। ১৯৯৭ সালে শেষবার কংগ্রেসের ওয়ার্কি কমিটির নির্বাচন হয়।
সারা দেশে বিজেপির একাধিপত্য, পরপর নির্বাচনে কংগ্রেসের চরম ব্যর্থতা কংগ্রেসের ভিতরে গাঁধী পরিবারের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অনেকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। যদিও, কোনও মতে সেই দ্বন্দ্ব চাপা দিয়ে কাজ চালাচ্ছে দল। নির্বাচন হলেও সবপক্ষের শান্তি দলের অন্দরে ফিরতে পারে, এমনই মনে করছেন অনেকে।