ফাইল ছবি।
দুষ্কৃতী হামলায় গত ২৯ জুন, রবিবার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় পঞ্জাবের র্যাপ গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালার। তা নিয়ে এখন তোলপাড় পঞ্চ নদের দেশ। এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ। যাতে দেখা যাচ্ছে, হামলার চার দিন আগেই ঘটনাস্থল রেকি করে গিয়েছিল হামলাকারীরা। সে ব্যবহার করা গাড়িই হামলার দিনও দেখা গিয়েছিল।
সদ্য প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি সাদা রঙের গাড়ি হরিয়ানার ফতেহাবাদ থেকে পঞ্জাবের মানসা জেলায় প্রবেশ করছে। এই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পঞ্জাব সরকার সিধু-সহ ৪২৪ জনের নিরাপত্তা কমিয়ে দেয়। তার এক দিন পরই সিধুর উপর হামলা হয়। গা়ড়িতে বসে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় গায়কের। হামলার সময়েও ওই একই সাদা গাড়িতে আততায়ীরা এসেছিল।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ফতেহাবাদ থেকে দু’জনকে আটক করেছে। সূত্রের খবর, আটক হওয়া দু’জনের সঙ্গেই যোগ রয়েছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের। মুসে ওয়ালার খুনের দায় নিয়েছিল এই দুষ্কৃতী দলই।
বর্তমানে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে থাকা লরেন্স দাবি করেছেন, মুসে ওয়ালা অকালি দলের যুব নেতা বিক্রমজিৎ সিংহ ওরফে ভিকি মিদ্দুখেরাকে খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাই প্রতিশোধ নিতে তাঁকেই সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কষেন লরেন্স। সিধুকে খতম করার পরিকল্পনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িতে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া আর এক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার।
গত ৩১ মে পঞ্জাব পুলিশ উত্তরাখণ্ড থেকে মনপ্রীত সিংহ নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, মনপ্রীতই খুনের ঘটনায় গাড়ি সরবরাহ করেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে যে সাদা গাড়িটিকে দেখা যাচ্ছে, সেটিও মনপ্রীতের বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মনপ্রীতকে জেরা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।