প্রায় চার দশক ধরে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা নিয়ে থাকলেও কোনও শাস্তি হবে না রাজনৈতিক দলগুলির। সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই এই সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। একে সমর্থন করছে কংগ্রেসও। লোকসভায় অর্থবিলের এই সংশোধনী পাশের ফলে, ১৯৭৬ সালের পর থেকে কোনও দল বিদেশি চাঁদা নিয়ে থাকলে, তা আতসকাচের নীচে আসবে না।
দিল্লি হাইকোর্টে এ নিয়ে মামলা করেছিল ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস’। অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস ও বিজেপি আইন ভেঙে বিদেশি সংস্থার থেকে চাঁদা নিয়েছে। ২০১৪-য় সেই চাঁদাকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে নির্দেশ দেয়, বিজেপি-কংগ্রেসের সব অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত করতে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ নিয়ে টালবাহানা করলে গত অক্টোবরেই আদালত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যেই পদক্ষেপ করতে হবে। তার আগেই যদিও বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনটি বদলাল সরকার। আগেই যদিও ২০১৬-র বাজেটে বিদেশি সংস্থার থেকে চাঁদা নেওয়ার রাস্তা খুলতে আইন সংশোধন করেন অরুণ জেটলি। এর মধ্যেই আজ লোকসভায় বিনা আলোচনায় দু’টি বিল পাশ করায় সরকার। এর মধ্যে আছে পেমেন্ট অব গ্র্যাচুয়িটি বিলটিও। ফলে কর্মীদের করবিহীন গ্র্যাচুইটির উর্ধ্বসীমা ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করতে পারবে সরকার।