গুমনামী বাবা (বাম দিকে)। সুভাষচন্দ্র বসু।
নেতাজি-অন্তর্ধান রহস্যে যাঁর নাম বার বার উঠে আসে, সেই গুমনামী বাবার ডিএনএ রিপোর্ট জানতে চেয়ে সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনে আবেদন করেছিলেন বাংলার এক যুবক। হুগলি জেলার কোন্নগরের বাসিন্দা, নেতাজি-গবেষক সায়ক সেন গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জানতে চান। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতায় থাকা সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) গুমনামী বাবার ডিএনএ নমুনার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট দিতে অস্বীকার করেছে।
এই রিপোর্ট না দেওয়ার পিছনে তিনটি কারণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সায়ক। এক, এই রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এলে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্য নষ্ট হবে। দুই, দেশের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবং রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এলে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিহাসবিদদের একাংশ বিশ্বাস করেন যে, ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। অনেকের বিশ্বাস, নেতাজি পরে গুমনামী বাবা হয়ে ফিরে আসেন। এই ধরনের ‘জনশ্রুতি’ অবশ্য নতুন নয়। আগেও কেউ কেউ, এমনকি নেতাজি পরিবারের একাংশ দাবি করেছেন গুমনামীই আসলে নেতাজি। আবার শৈলমারির সাধুর কথাও শোনা গিয়েছে। তবে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য সমাধানে এ পর্যন্ত তিনটি তদন্ত কমিশন গঠিত হলেও রহস্যের পর্দা সরেনি।
(এই খবরটি প্রথম প্রকাশের সময় ভ্রমবশত ‘গুমনামী বাবা’কে ‘নেতাজি’ বলে লেখা হয়েছিল। বিষয়টি গোচরে আসা মাত্রই আনন্দবাজার অনলাইন তা দ্রুত সংশোধন করেছে। অনিচ্ছাকৃত এবং সাময়িক এই ত্রুটির জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে নিঃশর্তে ক্ষমাপ্রার্থী।)