রণধীর জয়সওয়াল। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার নতুন প্রশাসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে অবৈধ অভিবাসন অথবা ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক চাপানোর হুমকি– এর কোনওটিকেই প্রতিবন্ধক বলে মনে করছে না নয়াদিল্লি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে এই বার্তা দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এই বিষয়গুলি নিয়ে একাধিক প্রশ্নের যৌথ উত্তরে তিনি স্পষ্ট জানান, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক এবং অবৈধ অভিবাসন, এই দু’টিকে একই বন্ধনীতে দেখা ঠিক নয়।
জয়সওয়ালের বক্তব্য, “আমরা আগেও এটা সাফ জানিয়ে দিয়েছি, ভারত অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে। বিশেষত এগুলি নানা ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কেবলমাত্র আমেরিকাই নয়, বিশ্বের অন্য কোথাও যদি ভারতীয় নাগরিক থেকে থাকেন যাঁদের সেই দেশে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা কাগজপত্র সঠিক নেই, তবে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে আনব। তবে গোটা বিষয়টি এবং তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথি আমাদের দিতে হবে।”
আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের প্রত্যাবর্তন এবং তাদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা সম্পর্কিত চলতি আলোচনা ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলবে কি না সে সম্পর্কেও মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হয়। জয়সওয়াল বলেন, “অবৈধ অভিবাসন ও বাণিজ্য দুটি পৃথক বিষয়। অবৈধ অভিবাসন নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি ও অবস্থান খুবই পরিষ্কার। বাণিজ্য প্রসঙ্গে এটাই বলতে হয় যে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে বহুস্তরীয় ও বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২৩ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রেকর্ডমাত্রা ছুঁয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার কোটি ডলার। বহু ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে রয়েছে যার মাধ্যমে বাণিজ্য শুল্কের মতো বিষয়গুলি নিয়ে কথাবার্তা চলতে থাকে দু’দেশের। দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থারও কোনও অভাব নেই। সে দেশের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত এবং আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রশ্নে আরও সাহসী হয়ে উঠবে আগামী দিনে।”