প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দাদার সঙ্গে পাড়ার রাস্তায় খেলছিল দেড় বছরের এক শিশুকন্যা। সেই সময় প্রতিবেশীর পোষ্য দু’টি কুকুর সেখানে আসে। আচমকাই শিশুটির উপর হামলা চালায়। তাকে কামড়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়।
এই পরিস্থিতি দেখে মেয়েটির দাদা চিৎকার করতে থাকে। সেই চিৎকার শুনে তাদের কাকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি দেখেন, ভাইঝিকে দু’টি কুকুর টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি কুকুর দু’টিকে তাড়িয়ে ভাইঝিকে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে মেয়েটি। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার ফতেহবাদে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ নভেম্বর বাড়ির সামনের রাস্তায় দাদার সঙ্গে খেলছিল শিশুকন্যা। তখনই পড়শির দু’টি পোষ্য কুকুর এসে হামলা চালায়। তবে সময়মতো কেউ বেরিয়ে না এলে, শিশুটির মৃত্যু হতে পারত। শিশুটির পরিবার রড়শির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন দুই পোষ্যকে খোলা ছেড়ে রাখা হয়েছিল। পোষ্যের মালিকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। কুকর দু’টিকে নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে ১৫ দিনের জন্য।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির শরীরের একাধির জায়গায় কামড়েছে পোষ্য কুকুর দু’টি। তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির দেহে আট জায়গায় কামড়েছে কুকুর। শিশুটির শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখা হচ্ছে। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা পোষ্যের মালিক সুরেন্দ্রের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।