ফাইল ছবি
গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমেরিকার চাপের পাল্টা দিতে সক্রিয় সাউথ ব্লক।
আগামী মঙ্গলবার টোকিয়োয় চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’-এর বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার পাশাপাশি বৈঠকের ফাঁকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে তাঁর।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, তার আগেই বুধবার রাতে আমেরিকা সফররত বিদেশপ্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন নিউ ইয়র্কে আন্তর্জাতিক খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে পাল্টা চাপ তৈরি করেছেন। ধনী দেশগুলির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেছেন, কোভিড টিকার মতো করে যেন খাদ্যশস্য বণ্টন না হয়, যেখানে ধনী দেশগুলি প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিজেদের ঘরে মজুত করে রাখায় অনুন্নত এবং কিছু কিছু গরিব দেশ একটি ডোজও পায়নি। পাশাপাশি, তিনি এ কথাও বলেছেন, ভারতের গম রফতানি নিষিদ্ধ করার কারণ, যাতে সবচেয়ে বেশি সঙ্কটের সময় সাড়া দেওয়া যায়। তাঁর বক্তব্য, “নিম্ন আয়ের দেশগুলি আজ দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে। এক দিকে পণ্যের দাম বাড়ছে, অন্য দিকে শস্যের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। এটা স্পষ্ট, বেআইনি মজুতদারের চক্রান্ত বাড়ছে। আমরা এটা হতে দিতে পারি না।”
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এই আশ্বাসও দিয়েছেন যে এই বিপদ রোধ করতে ভারত তার ভূমিকা পালন করবে। ভারতে মূল্যবদ্ধি ক্রমশ বেড়ে চলায় দেশের বাজারে যাতে গমের সঙ্কট দেখা না দেয়, এবং কালোবাজারি না হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখে আপাতত রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। যদিও কয়েক দিন আগেই জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গোটা বিশ্বকে খাওয়াবেন ভারতের কৃষকরা।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে ক্রমশ মধ্যপন্থায় আসবে ভারত। অর্থাৎ যে সব দেশ গমের জন্য অনুরোধ করবে, তাদের সুযোগসুবিধা মতো এবং তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওজন মেপে গম রফতানি করা হবে অদূর ভবিষ্যতে। সূত্রের মতে, মুরলীধরন আমেরিকায় সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন।
আফগানিস্তান, ইউক্রেন, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কাবাসীর সঙ্কটে ভারত কী ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দিয়েছেন। জানিয়েছেন, আফগানিস্তানকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম এবং মায়ানমারকে ১০ হাজার টন চাল এবং গম দেওয়া হয়েছে। মুরলীধরনের কথায়, ক্রমবর্ধমান খাদ্য সঙ্কটে ভারত তার ন্যায্য ভূমিকা পালন করবে, যাতে সামাজিক ন্যায়, সহমর্মিতা এবং সাম্যের ছবি বিশ্ব জুড়ে বজায় থাকে।