বারাণসী ও গাজিপুরে মোদীর সভা বয়কট করল বিজেপির দুই শরিক

শরিকদের ক্ষোভ অস্বস্তিতে ফেলল নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র বারাণসী ও গাজিপুরে তাঁর অনুষ্ঠান বয়কট করল বিজেপির দুই শরিক দল— আপনা দল ও সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৩৮
Share:

শরিকদের ক্ষোভ অস্বস্তিতে ফেলল নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র বারাণসী ও গাজিপুরে তাঁর অনুষ্ঠান বয়কট করল বিজেপির দুই শরিক দল— আপনা দল ও সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি।

Advertisement

বিধানসভা ভোটে তিন রাজ্যে বিজেপির হারের পর থেকেই এনডিএ-র শরিক দলগুলি ফণা তুলতে শুরু করেছে। শিবসেনা আগেই ফোঁস করেছে। উপেন্দ্র কুশওয়াহা এনডিএ ছেড়েছেন। রামবিলাস পাসোয়ানের দলও ক্ষোভ জানিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের দুই শরিক দলও বিজেপির বিরুদ্ধে ‘অহঙ্কার’, ‘অবহেলা’র অভিযোগ তুলছিল। সেটাই এ বার প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল।

উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলে গিয়ে একেবারে সান্টাক্লজের মতো একের পর এক সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন মোদী। কিন্তু আজ গাজিপুর ও বারাণসীতে তাঁর দু’টি অনুষ্ঠানই বয়কট করেছে আপনা দল এবং ও পি রাজভড়ের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। আমন্ত্রণ সত্ত্বেও গরহাজির থেকেছে তারা।

Advertisement

মোদী নিজে অবশ্য গাজিপুরের জনসভায় শরিকদের ক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেননি। এক দিকে তিনি চাষিদের ঋণ মকুবের নামে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। অন্য দিকে আমজনতাকে নিজের সাফল্য শুনিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনাদের ও আপনাদের ভবিষ্যৎ শোধরাতে আপনাদের চৌকিদার যথেষ্ট সততার সঙ্গে, মন দিয়ে, দিন-রাত এক করে কাজ করছে।’’

আরও পড়ুন: এ বার উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, প্রধানমন্ত্রীর সভার পরে বিক্ষোভকারীদের হাতে খুন পুলিশ

আপনা দলের নেত্রী অনুপ্রিয়া পটেল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এ দিকে আজ প্রধানমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে তাঁর স্বামী আশিস পটেল বলে বসেছিলেন, মোদীর নিজের কেন্দ্র বারাণসী-সহ ১০টি আসনে প্রার্থী দেবে আপনা দল। উত্তরপ্রদেশে ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় ১৫টি লোকসভা কেন্দ্রে ফলাফল নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখেন আপনা দলের কুর্মি-পটেল সম্প্রদায়ের ভোটাররা। বারাণসীতেই এই সম্প্রদায়ের অন্তত ১ লক্ষ ভোটার রয়েছেন। পরে অবশ্য আশিস জানান, তাঁরা বারাণসীতে প্রার্থী দেবেন না। কোন কোন কেন্দ্রে প্রার্থী দেবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানেও হাজির হননি। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত জানান রাজভড়ও। পূর্ব উত্তরপ্রদেশে রাজভড়দের মন জিততেই আজ তাঁদের নেতা মহারাজা সুহেলদেবের স্মরণে ডাকটিকিট প্রকাশ করেছেন মোদী। কিন্তু তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি।

গত লোকসভা ভোটে আপনা দলকে সঙ্গে নিয়েই ৮০টির মধ্যে উত্তরপ্রদেশের ৭৩টি আসন জিতেছিল বিজেপি। একই ভাবে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভাতেও যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পিছনে রাজভড়দের ভূমিকা ছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জন্য চিন্তার কারণ হল, এক দিকে অখিলেশ যাদব-মায়াবতীর সম্ভাব্য জোট, আর এক দিকে শরিকদের ক্ষোভ— জোড়া বিপদে উত্তরপ্রদেশেই মোদীর জয় কঠিন হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement