প্রতীকী ছবি।
দেশে কত জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন, এ বারও সেই তথ্য প্রকাশ করল না কেন্দ্র। ‘ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো’-র প্রকাশিত রিপোর্টেও চাষিদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান নেই।
২০১৫ থেকে এই রিপোর্টে চাষিদের আত্মহত্যার তথ্য থাকছে না। অভিযোগ, ২০১৯-র লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। এ বার ২০১৭-র যে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে, তাতেও এ নিয়ে তথ্য নেই। কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘সরকারের লক্ষ্যই বাস্তব তথ্য ধামাচাপা দেওয়া। কেন্দ্র তথ্য না দিলেও রাজ্যস্তর থেকে আত্মহত্যার যে খবর আসছে, তা উদ্বেগের।’’ মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকার তথ্যের অধিকার আইনে জানিয়েছে, তাদের আমলে গত ৪ বছরে দিনে গড়ে ৮ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮—চার বছরে ১২,০২১ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন। সরকারি সূত্রের যুক্তি, চাষিদের আত্মহত্যা মানেই এই নয় যে কৃষি সঙ্কটের কারণে আত্মহত্যা। দেউলিয়া হওয়া, চাষের সমস্যা ছাড়াও পারিবারিক সমস্যা, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া, মানসিক রোগ, শারীরিক অসুস্থতার কারণেও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন।